মালদ্বীপের রাজধানী মালে শহরে বিড়ালের মাংস দিয়ে খাবার তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিক আরাফাত হোসেন (৩২) কে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তার করে মালদ্বীপের অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম পুলিশেরে বরাত দিয়ে রবিবার ২০ অক্টোবর জানিয়েছে আরাফাত বিড়ালের মাংস দিয়ে খাবার তৈরি ও বিক্রি করেছে বলেন তদন্ত করে কোনো প্রমাণ পায়নি তারা দেশটির পুলিশ। ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় মামলার তদন্ত বন্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ একটি বেসরকারি সংস্থা আরাফাতের বিরুদ্ধে বিড়াল হত্যা, ও মাংস থেকে খাবার তৈরি এবং বিক্রির অভিযোগ এনেছিলো । বিড়ালের মাংসে খাবার তৈরির অভিযোগ উঠলে মালদ্বীপের সাধারণ মানুষের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে এর পরে মালদ্বীপের প্রাণী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আরাফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
বিড়ালের মাংসে খাবার তৈরির কোনো প্রমাণ না থাকলেও তিনি যে রান্নাঘরে খাবার তৈরি করছিলেন তার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জায়গাটি খাবার তৈরির জন্য যথেষ্ট পরিস্কার ছিলো না।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন জানায়, আরাফাত হোসেন মালদ্বীপে অবৈধভাবে বসবাস করেন। তাই তাকে গ্রেফতার করে নিজ দেশে নির্বাসিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
ইতিমধ্যে মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী বিদেশীকে গ্রেপ্তার করেছে যারা অস্বাস্থ্যকর জায়গায় খাবার তৈরি করে বিক্রি করেছিলো।মালদ্বীপে প্রতিদিনই অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির ইমিগ্রেশন।মালদ্বীপের বহু বাংলাদেশি মনে করেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান করা প্রবাসীরা তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করতে গিয়ে নিজেকে এমন ভাবে প্রকাশ করেন যা মালদ্বীপের প্রশাসন সহ অনেকের নজরে এসে যায় তাই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ভারতীয় নাগরিকদের কোটি কোটি টাকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আছে যারা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে লাখ লাখা রুপিয়া নিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। তাই আমাদের দেশের মানুষ উচিৎ প্রচারণা না চালিয়ে ব্যাবসা করা।
আরও পড়ুন: মালে বিড়ালের মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশির বিরুদ্ধে
মালদ্বীপে বিড়ালের মাংস দিয়ে খাবার তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রবাসী বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তি ৩২ বছর বয়সি প্রবাসী বাংলাদেশি আরাফাত হোসেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজধানীর মালে মাফান্নু এলাকায় বিড়াল মেরে ফেলা এবং বিড়ালের মাংস দিয়ে খাবার তৈরি করেন তিনি।
আরাফাতের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করলে মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন তাকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারি করে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন জানায়, আরাফাত হোসেন মালদ্বীপে অবৈধভাবে বসবাস করেন এবং তিনি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিড়াল মেরে, বিড়ালের মাংস দিয়ে খাবার তৈরি করতেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয় বলে জানায় দেশটির ইমিগ্রেশন। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আরাফাতকে ইমিগ্রেশনে হাজির হওয়ার জন্যও সময় দেয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী মালের বোদুঠাকুরুফানু মাগুর ম্যারি ব্রাউন রেস্টুরেন্টের সামনের পার্কিং জোনে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে বিড়াল ধরতে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরাফাত। এ সময় তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয় নাগরিকরা তাকে ধরে ফেলে।
পরে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য, আরাফাত তার নিজ রুমে বিভিন্ন লোগো ব্যবহার করে বার্গার বানিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতেন। আর এতে বিড়ালের মাংস ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ করেন আরাফাতের প্রতিবেশীরা। তারা আরও জানান, প্রতিদিনই আরাফাতের বাসার পাশে বিড়ালের দেহের অংশ এবং বিড়ালের চিৎকার শুনতে পাওয়া যেত।
মালদ্বীপে প্রতিদিনই অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির ইমিগ্রেশন।