কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পাকা, আধাপাকা ও কাঁচাবাড়ি মিলিয়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭০০টি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৭ হাজার বাড়ি-ঘর। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন শতাধিক পরিবার।
পানি কমে গেলেও রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বুড়বুড়িয়া ও বেড়াজাল গ্রামের মানুষ এখনও মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
গত ২২ আগষ্ট কুমিল্লায় গোমতি নদীর ভাঙ্গনের তোড়ে মাটির সাথে মিশে গেছে বুড়িচং উপজেলার বেড়াজাল গ্রামের বিলকিস বেগমের তিনটি ঘর। দুই মেয়েকে নিয়ে স্বামীহারা এই বৃদ্ধা এখন আশ্রয়হীন। মাথাগোঁজার ঠাঁই হারিয়ে বিলকিস বেগমের কান্না থামছেই না। ভাঙনের রাতে প্রাণ বাঁচিয়ে উঠেছিলেন পার্শ্ববর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে।
৬ দিন দিনপর সাঁতরে বাড়ি ফিরে দেখেন কিছু নেই বিলকিসের। ২টি মাটির ঘর মাটিতে মিশে গেছে, টিনের ঘরের সব আসবাব চাপা পড়েছে পলি মাটির নিচে।
বেড়াজাল গ্রামটি রাস্তাঘাট ভেঙ্গে লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় খাদ্য সঙ্কটেও আছেন এখানকার পরিবারগুলো। ভাঙনের মুখে বুড়িচং উপজেলার ৬টি গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট সবই ভেঙ্গে দিয়ে গেছে গোমতির বানের পানি। গ্রামবাসীকে পূনর্বাসনের জন্য গুরুত্বের ভিত্তিতে রাস্তাঘাট মেরামতের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
সরকারিভাবে পূনর্বাসনের সময় বুড়িচংয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙ্গনের মুখে ৬টি গ্রামকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ত্রান ও পূনর্বাসন কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চ্যানেল আই