আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এ হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও দেখা গেছে, সেভাস্তোপলে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের সদর দপ্তর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
হামলায় মস্কোর কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের সদর দপ্তরে আঘাত করা হলে সেখানে আগুন লেগে যায়। এতে অন্তত একজন সেনা নিখোঁজ হয়েছেন বলে সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপলে অবস্থিত রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে অন্তত একটি ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে স্থানীয় গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পৃথকভাবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনীয় এই হামলায় একজন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী মোট পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
রাজভোজায়েভ বলেছেন, যদিও আর কোনও হামলার আশঙ্কা নেই তারপরও শহরের কেন্দ্রস্থলটি এড়িয়ে চলতে স্থানীয়দের অনুরোধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং কিছু রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
রাজভোজায়েভ বলেন, হামলায় কোনও বেসামরিক হতাহত হয়নি বা বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েনি।
আরও পড়ুন…‘রাশিয়া সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন উত্তর কোরিয়ার কিম
তবে কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরটিও এই অঞ্চলে রাশিয়ার শতাব্দী প্রাচীন সামরিক উপস্থিতির একটি প্রধান প্রতীক। রাশিয়া বারবার ক্রিমিয়ায় নৌবহরের উপস্থিতি ব্যবহার করেছে ইউক্রেনীয় উপদ্বীপে তার দাবির ন্যায্যতা প্রমাণ করতে এবং ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমাদের হাতে পড়া ঠেকাতে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া।