সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি গণঅবস্থান শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের একপাশের সড়কে ত্রিপল বিছিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ফুটপাতে কিছু চেয়ার বসানো হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বসছেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছোট মঞ্চ করা হয়েছে। মাইকে কেন্দ্রীয় নেতারা দলের নেতাকর্মীদের নির্ধারিত জায়গায় বসার অনুরোধ করছেন। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।
গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে। কাকরাইল ও ফকিরাপুল মোড়ে জলকামান নিয়ে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। এর বাইরেও বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন।
এছাড়া রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে ১২ দলীয় জোট।এতে জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ জোটের শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য দলগুলোর নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন।
একই সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅবস্থান করছে সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, পূর্ব পান্থপথের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি), পুরানা পল্টন মোড়ে ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে (পূর্ব প্রান্তে) চার দলীয় বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং আরামবাগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে মোস্তফা মোহসীন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরাম।
যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ছিল গণমিছিল। বিএনপিসহ গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, কর্ণেল (অব.) ড. অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি, জামায়াতে ইসলামী ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
এসব দল ও জোটের পাশাপাশি গণঅবস্থান কর্মসূচিতে থাকছে চার দলীয় জোট বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম এবং ইয়ুথ ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, বাংলাদেশ জাষ্টিস পার্টি, জাতীয়তাবাদী চালকদলসহ ১৫টি সংগঠন।