প্রবল ঝড়বৃষ্টির পর লেকের জল চারপাশ ভাসালো। কুমির খামার থেকে ৭০টির বেশি কুমির পালালো। চীনের ঘটনা।
টাইফুন হাইকুইয়ের কারণে সৃষ্ট বন্যায় চীনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রজনন খামার থেকে ৭৫টি কুমির বেরিয়ে গেছে বলে চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গুয়াংডং প্রদেশের মাওমিংয়ে একটি হ্রদ উপচে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
বেরিয়ে যাওয়া কুমিরগুলোর কয়েকটিকে পুনরুদ্ধার করা হলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ‘নিরাপত্তার কারণে’ অন্যগুলোকে গুলি বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আটটি সরীসৃপকে এ পর্যন্ত ধরা হয়েছে।এ ছাড়া খামারের কাছের গ্রামবাসীকে বাড়িতে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
টাইফুন হাইকুই এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে প্রভাব ফেলেছে। চীন, হংকং, তাইওয়ান ও জাপান প্রভাবিত হয়েছে। টাইফুনের পর দক্ষিণ চীনে সাতজন নিহত এবং তিনজন নিখোঁজ হয়েছে।এখন এটি একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে নেমে ভূমিধস ও বন্যার সৃষ্টি করেছে।
মাওমিংয়ের জরুরি ব্যবস্থাপনা ব্যুরো অনুসারে, বন্যার পর থেকে ৬৯টি প্রাপ্তবয়স্ক এবং ছয়টি ছোট কুমির খামার থেকে বেরিয়ে গেছে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, কিছু সরীসৃপ এখনো গভীর পানিতে রয়েছে।তাদের খুঁজে বের করতে সোনার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে জরুরি পরিষেবাগুলো।
এদিকে জেলার জরুরি ব্যুরোর একজন কর্মী রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র দাজং ডেইলিকে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে বেরিয়ে যাওয়া কুমিরের সংখ্যা একটু বেশি।’
একজন দমকলকর্মী চীনা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুনরুদ্ধার করা কুমিরের অধিকাংশকেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের গড় ওজন প্রায় ৭৫ কেজি ও তাদের দৈর্ঘ্য দুই মিটারেরও বেশি।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেরিয়ে যাওয়া কুমিরগুলো সিয়ামিজ প্রজাতির।
যুক্তরাজ্যের চিড়িয়াখানা ক্রোকোডাইলস অব দ্য ওয়ার্ল্ডের মতে, এগুলো মিষ্টি পানির সরীসৃপ, যেগুলো প্রায় ১০ ফুট লম্বা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গুয়াংডং প্রদেশের মাওমিং বেশ কয়েকটি কুমিরের খামারের আবাসস্থল। সেখানে কুমিরের চামড়ার পাশাপাশি মাংসের জন্য প্রজনন করা হয়।
সূত্র : বিবিসি