গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় তলবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে আসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই নোবেলজয়ী বলেন, ‘আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি, আমার আর কিছু বলার নেই।’
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুদক কার্যালয়ে আসেন ড. ইউনূস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান। প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে কার্যালয় থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস।
দুদক কী জানতে চেয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে আপনারা কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।’ এরপর উপস্থিত সংবাদিকদের সালামও দেন তিনি।
এই নোবেলজয়ী বলেন, ‘আমাকে ডেকেছে, আমি এসেছি। আমার বলার কিছু নেই। আমি অপরাধ করিনি, শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
‘যেহেতু এটা আইনি বিষয়। আমার আইনজীবী এটার ব্যাখ্যা দেবেন’, যোগ করেন ড. ইউনূস।
এ সময় ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।’
এর আগে গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
এ ছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
