মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কাছে এক শোক বার্তা পাঠিয়েছেন, সোমবার জাপানের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে একজন নিহত, ভবন ধ্বংস এবং হাজার হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে।
সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের নোটো উপদ্বীপে ১০ কিলোমিটার গভীরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এটি জাপানের পশ্চিম উপকূল এবং প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় তিন ফুট উচ্চতার ঢেউ সৃষ্টি করেছিল।
রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু তার বার্তায় শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন, যার ফলে প্রাণহানি, মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সম্পত্তি ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি নিজের পক্ষ থেকে, মালদ্বীপের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা, সরকার এবং জাপানের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান, বিশেষ করে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু তার বার্তাটি শেষ করে আস্থা প্রকাশ করেন যে, কিশিদার নেতৃত্বে অনুসন্ধান ও উদ্ধার, পাশাপাশি পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন প্রচেষ্টা কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে।
দুর্যোগ থেকে দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, গত চার দশকের ও বেশি সময়ের মধ্যে এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, আগুন লেগেছে এবং উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য সেনা সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এনটিভি জানিয়েছে, ইশিকাওয়ার শিকা টাউনে একটি ভবন ধসে পড়ে এক বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক অবরোধের কারণে ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় প্রবেশ করা কঠিন হলেও তিনি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলকে জীবন বাঁচানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যে এলাকায় ভূমিকম্পের কার্যকলাপ চলছে, সেখানে আগামী দিনগুলিতে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্প ঘটতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে, এতে প্রায় ২০,০০০ মানুষ মারা যায়, শহরগুলি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ফুকুশিমায় পারমাণবিক মেল্টডাউন শুরু হয়।