যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয় একাধিকবার জেলে গিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ মিলিয়ন ডলার লুটের প্রমাণ আমার কাছে আছে। বাংলাদেশে তাঁর মা (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় থাকাকালে টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়িঘর তৈরি করেছে। বিদেশের সংবাদপত্রে সেগুলো ফলাও করে প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এসব খবর আমাদের দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন এম এ মালিক। নগরীর নাইওরপুল এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভা হয়।
এম এ মালিক বলেন ‘শেখ রেহানাকে খুশি করতে লন্ডনে সালমান এফ রহমানের ছেলে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি উপহার দিয়েছে। হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রীর তিনশর মতো বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া হাসিনা আপা আর রেহানা আপার নানা অপকর্মের প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।’ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তবে সে ফায়দা নিয়ে দেশটি যাতে আমাদের না ঠকায় সেটি খেয়াল রাখতেও সতর্ক করেন তিনি।
ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি সময় দিতে চায় উল্লেখ করে মালিক বলেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে দেশে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই আমরা। তারেক রহমান অচিরেই বাংলাদেশে ফিরবেন। বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে। আগামীর প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান। তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশ সংস্কারের কার্যক্রম সফলতা পাবে। তারেক রহমান আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সিলেটের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জজকোর্টের পিপি এটিএম ফয়েজ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর কুমকুম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা জাকারিয়া মাহমুদ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আফিকুর চৌধুরী, আশরাফ হোসেন প্রমুখ।