খেলা শুরুর আগেই বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার গ্যালারির এক পাশে ফিলিস্তিনের বিরাট একটা পতাকা দেখা যাচ্ছিল। সেটির নিচে লেখা ছিল ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করুন’। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী নিরীহ-নিরপরাধ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যে হামলা চালাচ্ছে, তারই প্রতিবাদে দর্শকদের একটা অংশ সেই পতাকাটা নিয়ে এসেছিল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রাথমিক পর্বের দ্বিতীয় লেগে মালদ্বীপকে হারিয়ে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেওয়ার পর বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের হাতেও দেখা গেল ‘সন্ত্রাসী ইসরায়েল থেকে ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন’ লেখা দেশটির একটি পতাকা। বাংলাদেশের ফুটবলাররা অবশ্য সেটি বেশিক্ষণ হাতে রাখতে পারেননি। ম্যাচ কমিশনারের নির্দেশেই সেটি সরিয়ে নেওয়া হয় তাঁদের কাছ থেকে।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই উল্লাসে মেতেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তাঁরা জাতীয় পতাকা উড়িয়েই মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় উদ্যাপন করছিলেন। দর্শকদের অভিবাদনের জবাবে জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘ল্যাপ অব অনার’ শুরু করেছিলেন তাঁরা। সমর্থকেরাও বিপুল করতালি আর উল্লাসধ্বনি দিয়ে তাঁদের অভিনন্দিত করছিলেন। হঠাৎই বিশ্বনাথ ঘোষের হাতে দেখা যায় ‘ফিলিস্তিনকে রক্ষা করুন’ সেই পতাকা। সেটি নিয়েই উল্লাস করছিলেন তাঁরা। এরপর একজন এসে তাঁদের কাছ থেকে সেটি সরিয়ে নিয়ে যান।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাঠে রাজনৈতিক প্রতিবাদ অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার আছে আপত্তি। ফিফার আইনে আছে কেউই মাঠে, জার্সিতে কোনো প্রকার রাজনৈতিক স্লোগান ব্যবহার করতে পারবেন না। সে কারণেই বিশ্বনাথের হাত থেকে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিংস অ্যারেনার গ্যালারিতেও ফিলিস্তিনের বড় পতাকাটি খেলা শুরুর পর আর দেখা যায়নি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে রাকিবও জানালেন ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল দলের সংহতির কথা, ‘ফিলিস্তিন একটি মুসলিম দেশ। সেখানে বর্বর হামলা চলছে। এ ব্যাপারে যে আমরা প্রতিবাদ করব, সেই প্রস্তাব দিয়েছিল বিশ্বনাথই । সে-ই আমাদের বলেছিল ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে।’
উৎস প্রথম আলো