মালদ্বীপগামী চীনা গবেষণা জাহাজটি মালদ্বীপের জলসীমায় থাকাকালীন কোনো গবেষণা চালাবে না বলে জানিয়েছে মালদ্বীপ সরকার।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা গবেষণা জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং-৩ কে মালেতে বন্দরে নোঙর করার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের জন্য কূটনৈতিক অনুরোধ জানিয়েছে চীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চীন বন্দরে কর্মী আরোপন ও পণ্য, পূরণের জন্য ছাড়পত্র চেয়েছিল।বিবৃতিতে বলা হয়, মালদ্বীপের জলসীমায় থাকা অবস্থায় জাহাজটি কোনো গবেষণা চালাবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে যে মালদ্বীপ সর্বদা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির জাহাজের জন্য একটি স্বাগত গন্তব্য এবং শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে বন্দরে নোঙর করতে বেসামরিক ও সামরিক উভয় জাহাজকে হোস্ট করে চলেছে।
“এ ধরনের বন্দর কল কেবল মালদ্বীপ এবং তার অংশীদার দেশগুলির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককেই উন্নত করে না, বরং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলি থেকে আসা জাহাজগুলিকে স্বাগত জানানোর মালদ্বীপের জনগণের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যও প্রদর্শন করে,” পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলন এবং এ জাতীয় সমস্ত ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন সমর্থন করে চলেছে।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে মালদ্বীপে পৌঁছানোর কথা থাকলেও জাহাজটি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিবৃতি দেয়া হলো।
মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (এমএনডিএফ) এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
চীনা গবেষণা জাহাজটি নয়াদিল্লিতে উদ্বেগ উত্থাপন করতে পারে, যা এর আগে তার উপকূলের কাছাকাছি এই জাতীয় জাহাজের উপস্থিতিকে সমস্যাযুক্ত হিসাবে দেখেছিল।
এ ধরনের জাহাজ সামরিক জাহাজ না হলেও ভারতসহ কয়েকটি দেশ তাদের গবেষণার সামরিক ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন।
২০২২ সালে, একটি চীনা গবেষণা জাহাজ গভীর জলে অনুসন্ধান চালানোর জন্য শ্রীলঙ্কায় একটি বন্দর কল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতের তীব্র আপত্তির মুখে কলম্বো এক বছরের জন্য তাদের বন্দরে জাহাজ ভিড়ানোর অনুমতি স্থগিত করে।
মালদ্বীপ ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার এক মাস পর জিয়াং ইয়াং হং ৩ বন্দরে নোঙরের এ আহ্বান জানাল।