ভাঙ্গা প্রতিনিধি ফরিদপুর।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ সেইসঙ্গে এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ৪ গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। এ সময় ঘরের নিচে পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে এবং কমপক্ষে নারী-পুরুষসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের বড় হামিরদী ও ছোট হামিরদী এবং আজিমনগর ইউনিয়নের পুখুরপাড় ও ঈশ্বরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। নিহত গৃহবধূর নাম ঝরনা আক্তার (২১)। তিনি বড় হামিদদী গ্রামের দিনমজুর শাহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী
এলাকাবাসী জানিয়েছে, কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে গাছপালা ঘরবাড়ি দুর্বল হয়ে পড়ে। তারমধ্যে মাত্র এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে পাঁচ গ্রামের প্রায় দুই থেকে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা। ফরিদপুর- বরিশাল মহাসড়কে গাছপালা পড়ে যান চলাচল বন্ধ থাকে কয়েক ঘণ্টা।
হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোকন মিয়া বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ও বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার হবে। আজ শুক্রবার স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় তিনি তার নিজ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ দেওয়ার আশ্বাস দেন। আমাকে লিস্ট করে আজ সন্ধ্যায় তার বাড়িতে যেতে বলেছেন।’
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং রাতের ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের চারটি গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ সারাদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল বিতরণ করেছি। নিহতের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছি।’
অন্যদিকে, আজিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান হাওলাদার জানান, ‘আমার ইউনিয়নে দুটি গ্রামে শতাধিক ঘর লণ্ডভণ্ড হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।’