গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হলে অবরোধে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর গাবতলী টার্মিনালে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে অংশ নেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। সরকারের পক্ষে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান. পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরিবহন নেতাদের অভিযোগ অনুযায়ী, গত রোববারের হরতাল ও অবরোধের প্রথম দুই দিন প্রায় অর্ধশত গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে অবরোধ সমর্থকরা।
বৈঠকে পরিবহন নেতারা বলেন, ২০১৩ ও ২০১৫ সালের হরতাল-অবরোধে পাঁচ হাজারের বেশি যানবাহন নাশকতার শিকার হয়। আগুন, হামলায় প্রাণ যায় ৯৩ শ্রমিক-চালকের। ওই সময়ে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়নি পরিবহন খাত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন, এবার প্রাণহানি ও গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। বৈঠক সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে পরিবহন নেতারা গাড়ি চলাচল বাড়াতে সড়কে নিরাপত্তা বাড়ানোর অনুরোধ করেন। বিশেষ করে মহাসড়কে রাতে পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলে ২০১৫ সালের মতো র্যাব, পুলিশ বা বিজিবির পাহারা চান। ওসমান আলী সমকালকে বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পরে জানানো হবে।