ইসরায়েল গাজা সম্পূর্ণ অবরোধ করাসহ পানি সরবরাহও বন্ধ করেছে, এর সাথে জড়িতদের হত্যা করার হুমকি দিয়েছে ফিলিস্তিনের হামাস দল। যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা সতর্ক করে জানিয়েছে, সতর্কতা ছাড়াই প্রতিটি বেসামরিক জিম্মির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। হামাস আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল বিমান হামলায় তাদের চার নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসকে কড়া সতর্কতা জানিয়েছে, তার সরকার ৩ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। তিনি জাতির উদ্দেশে বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধে আছে। আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। এটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল এই যুদ্ধ শুরু না করলেও, ইসরাইল এটি শেষ করবে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া রকেটের ব্যারেজের মাধ্যমে শুরু হওয়া আক্রমণে উভয় পক্ষের প্রায় ১ হাজার ৬০০বেসামরিক ও সৈন্য মারা গেছে। এর মধ্যে ইসরায়েলের ৯০০ জনেরও বেশি রয়েছে।গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৭ জন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ১১ আমেরিকান নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে আরও কয়েকজনকে হামাসের হাতে জিম্মি করা হয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিকভাবে যুদ্ধে জড়ানোর কোন ইচ্ছা নেই। তারা ইরান এবং অন্যান্যদের জড়িত হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের গাজায় হামাসের এলাকাগুলোকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি জাতিসংঘে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইসরাইল দীর্ঘ অবরুদ্ধ ছিটমহলে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করবে। যার ফলে ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষের উপর এর প্রভাব পড়বে। বিদ্যুত, খাবার, পানি, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে।
যুদ্ধের তৃতীয় দিনে, গাজার আকাশ ধোঁয়ায় কালো হয়ে গিয়েছিল যখন উপরে যুদ্ধবিমান গর্জন করছিল। হামাস জেরুজালেম পর্যন্ত রকেট ছুড়তে থাকে, যেখানে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।