জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ দলের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে যোগ দেবেন বলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে অংশ নেবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা।
বিএনপির অংশগ্রহণের কারণ:
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র একটি জাতীয় ইস্যু। দেশের চলমান সংকট নিরসন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঘোষণাপত্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে দলটি। বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “আমরা চাই এটি এমন একটি দলিল হোক যা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে এবং একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তুলবে।”
সর্বদলীয় বৈঠকের মূল এজেন্ডা:
১. জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া:** দলগুলোর মতামত নিয়ে ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা।
২. সরকারের ভূমিকা:** অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভূমিকা নির্ধারণ।
৩. জনগণের অংশগ্রহণ:ঘোষণাপত্রে সাধারণ জনগণের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটানো।
৪. সুষ্ঠু নির্বাচন: ঘোষণাপত্রে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা অন্তর্ভুক্ত করা।
বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া:
বিএনপির এই অংশগ্রহণকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, বৈঠকে দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা তৈরি হলে দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তবে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনাও দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার সূচনা হতে পারে।
বৈঠকের ফলাফল এবং ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।