তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ-এর আমির ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেছেন, দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, নারী খেলোয়াড়দের সংবর্ধনার জন্য মিডিয়াকর্মী, তথাকথিত সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের এয়ারপোর্টে ছুটাছুটি চোখে পরার মতই। কিন্তু আন্তর্জাতিক হাফেজে কুরআন দেশে ফিরে আসে, তাদের জন্য কোন সংবর্ধনার ব্যবস্থা থাকে না। জাতি হিসেবে এটা আমাদের চরম ব্যর্থতা ছাড়া আর কী হতে পারে?
আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, মিশরের মত একটি সেকুলার রাষ্ট্রেও আন্তর্জাতিক ক্বারী ও হাফেজে কুরআনদেরকে রাষ্ট্রপ্রধানগণ রাষ্ট্রীয় পদক ও ক্রেস্ট তুলে দেন। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও থাইল্যান্ডে ক্বারী ও হাফেজদেরকে কী সম্মান ও সংবর্ধনা দেওয়া হয় তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তুরস্কের বিষয় তো আরো ভিন্ন!
তিনি বলেন, সেসব রাষ্ট্রগুলোতে প্রচুর সেকুলার আছে। নিজ মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও ইসলামি তাহযিব-তামাদ্দুন ও আদর্শের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল। ব্যতিক্রম শুধু উপমহাদেশে। ইসলাম-মুসলমান, আলেম-উলামা ও পীর মাশায়েখদের বিরোধীতা ও তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষনটাই যেনো তাদের নেশা ও পেশা।
তিনি আরো বলেন, এর নৃতাত্ত্বিক সমস্যা অনেকগুলো। তার মধ্যে একটি হলো, এ অঞ্চলটি বিদেশি উপনিবেশিক দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী শাসিত হয়েছে। পর্তুগিজ, ডাচ, ওলন্দাজ, ইংরেজ, মুঘল, খান, পাঠান বিভিন্ন উপনিবেশিকদের বংশ ধারার মিশ্রণের কারনে এ অঞ্চলের সেকুলারদের স্বভাব খুবই নিকৃষ্ট। যে কারণে এদের অন্যতম নীতি হয়ে গিয়েছে সত্য ও ভালোর বিরধীতা, মিথ্যা ও কুকর্মের পৃষ্ঠ পোষকতা। বাংলাদেশেও এ প্রকৃতির মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, অতএব দুঃখ কষ্ট লাগলেও বিষয়টি স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। তবে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই, এদেশে মহাসত্য দ্বীন-ইসলামের পতাকাধারী লক্ষ-কোটি সৈনিক দেশ ও জাতি রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
এএনবি২৪ ডট নেট ফেইসবুক পেইজ যুক্ত হতে এখানে কিল্ক করার অনুরোধ রহিলো