
বুড়িচং, কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আঞ্চলিক সড়ক গুলোর বেহাল দশা। গর্ত আর খানাখন্দকে ভরা সড়কগুলোতে পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ সড়কে সংস্কারের কাজ না করায় সমস্যা প্রকট হচ্ছে। কিছু সড়ক করা হলেও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে কিছুদিন যেতেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানা খন্দ তৈরি হয়েছে। এতে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চলছে বর্ষা মৌসুম। কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। তীব্র গরমের মাঝে বৃষ্টি যেন মানুষের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে এলো। মানুষ স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছে। কিন্তু বৃষ্টিতে গরম থেকে নিস্তার পেলেও জলজট, খানাখন্দে আর কাদাপানিতে সৃষ্টি হচ্ছে আরেক সমস্যা।রাস্তার পাশে পরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য একটু বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় দিনে দিনে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানা- খন্দকে পরিণত হয়েছে। এতে গরম থেকে মানুষের মুক্তি হলেও নতুন করে দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
রাস্তাঘাটের বেহাল দশা স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। কোন কোন রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলাও মুশকিল হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে স্কুল – কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বেশি পোহাতে হচ্ছে ।এছাড়া অনেক খাল ভরাট করে দোকানপাট, বাড়িঘর নির্মাণ করায় সহজে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় যেখানে সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তা গুলোতে পানি জমে থাকায় গাড়ি চলাচলের ফলে চাকার ঘর্ষণে পিচ ওঠা সহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর আরেকটি কারণ হচ্ছে যত্রতত্র ময়লা- আবর্জনা ফেলা। বজ্য আর আবর্জনায় কোথাও রাস্তার ধারে কোথাও খাল- বিলে, কোথাও ব্রীজের মাথায় ফেলার কারণে অনেক সময় জ্বলজট বা জলবদ্ধতা সহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন না থাকায় সরকারি রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । বর্ষায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। আমি আমার আওতায় যতটুকু সম্ভব বর্ষা মৌসুম শেষে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে কাজ করার উদ্যোগ নেব।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ডক্টর সোলায়মান বলেন, আমাদের গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খাল গুলো পরিচ্ছন্ন না থাকায়, খননের অভাব ও মানুষের দখলের কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। দালান-কোঠা তৈরি করার সময় কেউ ড্রেনেজ সিস্টেমকে আমলে নিচ্ছে না এবং পানি প্রবাহের ব্যবস্থা রাখছে না। সেজন্য স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রত্যেকটি বাড়িঘর নির্মাণের ছাড়পত্র থাকা উচিত।
উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহমেদ অক্ষর বলেন, উপজেলার ৭’শ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। ছোট -বড় সড়ক আছে ৫’ শর অধিক,এর মধ্যে ২০/২৫টি সড়কের অবস্থা তেমন ভালো না। এগুলোর সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে এবং কিছু সংস্কারের কাজ চলমান আছে । এবারের বর্ষা মৌসুমের পর আশা করি বাকি কাজ গুলো অনুমোদন সাপেক্ষে সম্পন্ন হয়ে যাবে।
এএনবি২৪ ডট নেট /গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির ।