আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দেন না। আল্লাহ হলেন অসীম দয়ালু ও করুণাময়। তিনি মানুষকে ভালোবাসেন এবং তাদের সুখ চান। আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দেন না, বরং মানুষ নিজেই নিজের কষ্টের জন্য দায়ী।
মানুষের দুঃখকষ্টের কারণগুলো হল:
- মানুষের পাপ ও অন্যায়: আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন মুক্ত ইচ্ছার অধিকারী হিসেবে। মানুষ এই স্বাধীনতা ব্যবহার করে পাপ ও অন্যায় করে। পাপ ও অন্যায়ের ফলস্বরূপ মানুষকে দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হয়।
- দুনিয়ার পরীক্ষা: দুনিয়া হল একটি পরীক্ষার ক্ষেত্র। আল্লাহ মানুষকে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দুঃখকষ্টের মধ্য দিয়ে নিয়ে যান। দুঃখকষ্টের মধ্য দিয়ে মানুষ তার ধৈর্য, সহনশীলতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে পারে।
- মানুষের অজ্ঞতা: মানুষ অনেক সময়ই তার নিজের ভালোর জন্য যা করা দরকার তা করে না। অজ্ঞতার কারণে মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেয় এবং এর ফলস্বরূপ তাকে দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হয়।
আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দেন না, বরং তিনি মানুষকে ভালোবাসার জন্যই কষ্টের মধ্য দিয়ে নিয়ে যান। দুঃখকষ্টের মধ্য দিয়ে মানুষ তার প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পারে এবং আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে পারে।
আল্লাহ বলেন:
“আমি তোমাদেরকে কিছু কিছু ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলসম্পদে পরীক্ষা করব। ধৈর্যশীলদের জন্য সুসংবাদ।
যারা দুঃখকষ্টের সময় ধৈর্য ধারণ করে, বিপদ-আপদ আসলে সাহস রাখে এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে, তারাই সত্যিকারের সৎকর্মশীল।” (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)
আল্লাহ আরও বলেন:
“আমি তোমাদেরকে দুঃখকষ্ট ও সুখ দুইয়েরই স্বাদ আস্বাদন করাব, যাতে তোমরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হও এবং তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার তারা প্রকাশ হয়ে যায়।” (সূরা আনফাল, আয়াত: ২১)
আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দেন না, বরং তিনি মানুষকে ভালোবাসার জন্যই কষ্টের মধ্য দিয়ে নিয়ে যান। দুঃখকষ্টের মধ্য দিয়ে মানুষ তার প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পারে এবং আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে পারে।