ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংঘাতের কারণে বিভিন্ন দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই পোল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, স্পেন এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কিছু দেশ তাদের নাগরিকদের ইসরায়েল থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই হামাস এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। দুপক্ষের সংঘাতে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। অপরদিকে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১২০০।
গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ৯৫০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার থেকেই বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মঙ্গলবার রাতে তারা গাজায় ২০০ টার্গেটে হামলা চালিয়েছে। আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে প্যালেস্টাইন শিবিরে নিহত অন্তত ৯ জন
গত শনিবার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই দুপক্ষের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। হামাসের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করাকে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল। ফলে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়বে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতি মুহূর্তে হতাহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
ভল্কার তুর্ক বলেন, গাজা উপত্যকার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে সেখানকার মানুষের পক্ষে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। এ ধরনের পরিস্থিত সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ বলে তিনি মন্তব্য করেন।