বাহরাইনের সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের দেশে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূতও বাহরাইন ছেড়েছেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর— আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা চারটি দেশের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে বাহরাইন।
আব্রাহাম চুক্তির পর বাহরাইন ও ইসরায়েলের মধ্যে সবদিক দিয়ে সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।আরব বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনে আব্রাহাম চুক্তিকে ব্রেকথ্রু হিসেবে দেখা হয়েছিল। তবে এ চুক্তির তেমন কার্যকারিতা বাস্তবে পাওয়া যায়নি।
গাজায় নির্বিচার হামলা ও সাধারণ ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাহরাইন। এছাড়া ইসরায়েলে থাকা রাষ্ট্রদূতকে ফিরে আসার নির্দেশও দিয়েছে দেশটি।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থ্যতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল চারটি দেশ। এরমধ্যে অন্যতম ছিল বাহরাইন। এছাড়া চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রথম দেশ হিসেবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া।
বলিভিয়ার পর ইসরায়েল থেকে নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় জর্ডানও। এভাবে একে একে চিলি ও কলম্বিয়াও ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন।