ইসরাইলের অবিরাম বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা জুড়ে কমপক্ষে ৪০০ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাতের মধ্যে এ হামলাকে ‘সবচেয়ে ভারী বোমা হামলা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা অনুসারে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের আবাসিক এলাকায় কমপক্ষে ২৫টি ইসরাইলি বিমান হামলা রেকর্ড করা হয়েছে। যেসব এলাকায় ২ মিলিয়নেরও বেশি লোক বাস করে।
ওয়াফা জানিয়েছে, অনেক হামলা কোনো সতর্কতা ছাড়াই বেসামরিক মানুষের বাড়িতে আঘাত হানে।
এর মধ্যে গাজা উপত্যকায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে একটি আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। বিধ্বস্ত ভবন থেকে ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলের বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্রগুলো এই কথা জানিয়েছে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। সে সময় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এরও আগে গত ৯ অক্টোবর একই শরণার্থীশিবিরে বোমা হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজার অতিক্রম করেছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা