ইসরায়েলি হামলা বন্ধে আরব দেশগুলোর পদক্ষেপ বিবৃতি ও নিন্দা জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েই ক্ষান্ত হয়েছেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই দিনই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা সাত হাজার ছুঁই ছুঁই। এদের মধ্যে তিন হাজার শিশুই রয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পরপর পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা ইসরায়েল সফর করে তেল আবিবের পক্ষে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইসরায়েলকে দুই বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে এবং আরও ১৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। বুধবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এর বিপরীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান, হামলার নিন্দা, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব, ত্রাণ সহায়তা -এসবের মধ্যেই নিজেদের কার্যক্রম সীমিত রেখেছে। মিশর ও জর্ডান তাদের ভূমিতে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ করতে হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতিতে বাহরাইন, মিশর, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, আত্মরক্ষার অধিকার আইন ভঙ্গ ও ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে উপেক্ষা করার ন্যায্যতা দেয় না। তারা গাজা উপত্যকায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং ইসরায়েলি হামলাকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি যৌথ শাস্তি হিসাবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।