আমি মালদ্বীপপন্থী,নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড,মোহাম্মদ মুইজ।

নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু ৩ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে মালে শহরে তার বিজয় সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন। (ছবি: ছবি : সংগৃহীত

আমি মালদ্বীপপন্থী,নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড,মোহাম্মদ মুইজ।আমি মালদ্বীপপন্থী”  এই নীতিকে যারা সম্মান করে এমন সমস্ত দেশের সাথে তিনি সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।

(৩০ সেপ্টেম্বর) শনিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পিপিএম-পিএনসি’র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ মুইজ্  বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে ৮ শতাংশ ভোটের  ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়ার পর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা,বিবিসি, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং অন্যান্য শীর্ষ স্থানীয় মিডিয়া এই শিরোনামটি প্রকাশ করেছে।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনপন্থী প্রার্থী মুইজ্ জয়ী হয়েছে।

 এই শিরোনামে  সংবাদ প্রচার করায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড.মোহাম্মদ মুইজ ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে 

সোমবার  (২ অক্টোবর) রাজধানী   মালে’ সিটিতে তার বিজয় সমাবেশে, মুইজ মালদ্বীপ  প্রশাসনের পররাষ্ট্র নীতিকে “মালদ্বীপপন্থী” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। 

তিনি বলেন আমি মালদ্বীপপন্থী এই নীতিকে যারা সম্মান করে এমন সমস্ত দেশের সাথে তিনি সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।

 তিনি আশা করেন বিশ্বের সকল দেশ মালদ্বীপের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করবে।আমি আশা করি সব দেশ আমাদের স্বায়ত্তশাসনকে সম্মান করবে এবং মেনে নেবে যে আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করার অধিকার তাদের মতোই আমাদের আছে,।

সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ পাঠক যেসকল সংবাদ সংস্থা  পড়ে ও দেখে সেই  সকল মিডিয়া  মুইজকে  “চীনপন্থী” নেতা হিসাবে সংবাদ করা আসলেই দু:খজনক। 

 সমাবেশে মুইজ্ বলেন, স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল অনুযায়ী বিদেশি সেনাদের বহিষ্কার করা হবে।

“আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা এটা করতে পারব। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা মালদ্বীপে বিদেশি  সৈন্য চায় না। আমার সাথে দেখা করতে আসা রাষ্ট্রদূতদের কাছে আমার বার্তা হল: আপনি এই ভিত্তিতে আমাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন,” কূটনীতির সম্পর্কের  মাধ্যমে যে কোনও কিছু অর্জন করা যেতে পারে। 

মালদ্বীপের  জনগণ যা চায়  সেই কাজই  করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট  ড,মোহাম্মদ মুইজ। 

মিডিয়া গুলো আগামী পাঁচ বছরের জন্য মালদ্বীপের নেতা নির্বাচনের জরিপকে ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ হিসাবে বর্ণনা  হয়েছিল। সোলিহকে “ভারতপন্থী” এবং মুইজ্কে “চীনপন্থী” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন একটি দেশের স্থিতিশীলতা কেবল অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর নির্ভর করে না। ভূ-রাজনীতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করা হবে। এর জন্য প্রয়োজন সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। 

মুইজ্ তার মালদ্বীপপন্থী নীতির মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার  প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।