মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে শত শত অভিবাসীকে আটক করছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। জানা গেছে, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, এই ধরপাকড় অভিযান নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ যৌথভাবে মালয়েশিয়ার সর্বত্র এই অভিযান চালাচ্ছে। তবে বেশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে জোহর রাজ্যে।
মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একযোগে তিনদিনের অভিযানে ৮৬ জন অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন পুলিশ। ২০ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত জোহরজুড়ে অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
২২ মে, জোহর রাজ্য অভিবাসনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জল বিন শামসুদীন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জোহর রাজ্য ও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের অফিসারদের একটি দল, বাতু পাহাত শাখা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এবং সেগামাত শাখা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ৪২টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
বৈধপাস/পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং বৈধ ভ্রমণ নথি নেই এমন বিদেশিদের বিষয়ে অভিযোগ এবং জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে রাজ্যের হটস্পট এলাকায় অপস সাপু, অপস সেলেরা, অপস পিন্টু, অপস মাহির এবং অপস পিক আপের মতো বিভিন্ন নামে এ অভিযান চালানো হয়।
জোহর বাহরু জেলায় গ্রেফতাররা হলেন ইন্দোনেশিয়ার ১৯ জন পুরুষ, ১২ জন নারী এবং মিয়ানমারের ১৯ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী, বাংলাদেশের ৯, পাকিস্তানের ৪ ও ভারতের ১ জন। আটকদের বয়স ৬ মাস থেকে ৫১ বছর। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে একজন ৪৯ বছর বয়সী স্থানীয় ব্যক্তি যিনি প্রাঙ্গণের মালিক এবং নিয়োগকর্তা।
বাতু পাহাত জেলায়, আটকদের মধ্যে ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১৪ জন বাংলাদেশি। সেগামাতে আটকরা হলেন ৩ ইন্দোনেশিয়ান নারী এবং ২ জন পাকিস্তানি, যাদের প্রত্যেকের বয়স ২২ থেকে ৪৩ বছরের মধ্যে। একজন ৪০ বছর বয়সী একজনকে আটক করা হয়েছে। যে তার আসল নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
আটকরা, ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এর ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে মালয়েশিয়ায় বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকার জন্য অপরাধ করেছে, ১৫(১)(সি) বেশিদিন থাকার জন্য ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫), ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩-এর রেগুলেশন ৩৯(বি) যা পাসপোর্ট শর্ত লঙ্ঘন করেছে।