গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, ঢাকা থেকে।।
কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করে সহনীয় রাখা, জাতীয় শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতির প্রতিবাদ ও অবহেলিত সুফিবাদী জনতার অধিকার আদায়ে লক্ষ্যে
আগামী ৭ জানুয়ারি , শনিবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
৪ জানুয়ারি, বুধবার, সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়; কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা চায় বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন-নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় দেশের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ, অজানা শঙ্কায় দেশের সাধারণ জনগণ। রাজনীতিতে অসুস্থ প্রতিযোগীতা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস থেকে জাতি মুক্তি চাই।
তিনি, বর্তমান নির্বাচন ধারা নিয়ে বলেন-আমরা দলীয় সরকারের অধীনে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন চাই না। এ দু’টি ধারারই বিপক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনে করে সাংবিধানিক ধারা সংশোধন করে কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই দেশে অংশগ্রহণমূলক অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন-একটি কার্যকর স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে আমাদের প্রস্তাবনা হলো নির্বাচনকালীন সময়ে স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থ- এ ৫টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে সাংবিধানিক পন্থায় ন্যস্ত করা।
যদি উল্লেখিত মন্ত্রণালয়গুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা না হয় তবে কখনো নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবেনা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আগে জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ পরিবেশ থাকলে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এককভাবে আগামী নির্বাচনে দেশের সবকটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়-
১/তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়; কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা ।
২/ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা।
৩/ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন ও দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করে সহনীয় রাখা।
৪/জাতীয় শিক্ষাক্রমে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি পরিহার করে শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার বাধ্যতামূলক করা।
৫/অবহেলিত সুফিবাদী জনতার অধিকার আদায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মাননীয় চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন,প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা,আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী, এম সোলায়মান ফরিদ, সৈয়দ মোজাফফর আহমদ মোজাদ্দেদী, অধ্যক্ষ আবু জাফর মুঈনুদ্দীন।
এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল,কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন সিদ্দীকি আশরাফী,মুহাম্মদ আবদুল হাকিম,মাস্টার আবুল হোসেন, এডভোকেট হেলাল উদ্দীন,সাইফুদ্দিন আহমদ ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল জাবের, ইমরান হুসাইন তুষার, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
এএনবি২৪ ডট নেট /ঢাকা থেকে গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির।।