বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, খালেদা জিয়াসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে আজ (শনিবার) বিএনপির এই গণমিছিল। এদিন নগরীর দুই প্রান্ত থেকে গণমিছিল শুরু করে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় নেতাকর্মীরা।
ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। এ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। আজ (শনিবার) রাজধানীতে গণমিছিল শেষে সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, জেলে নিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার গণমিছিল শুরু হয় রামপুরা বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে। নেতৃত্ব দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। মিছিলটি মালিবাগ রেলগেট, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল হয়ে নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
একই সময়ে কমলাপুর থেকে মিছিল শুরু করে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। পীরজঙ্গি মাজার, আরামবাগ, ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয় মিছিলটি।
সেখানে সমাপনী সমাবেশে দলটির সিনিয়র নেতারা বলেন, সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মৃত্যুর মুখে বেগম খালেদা জিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের মানুষ ক্ষমতাসীনদের প্রত্যাখান করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে এখন সরকারই নানা ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সরকার পতনের এক দফা দাবি বাস্তবায়নে রাজপথে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতারা।