হাইকোর্টে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল হওয়ার পর কেন আপিল করেনি দুদক- প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি চলাকালে এ প্রশ্ন করেন।
এসময় কোন সদুত্তর দিতে পারেননি দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, দুটা মামলা ভিন্ন। এছাড়াও ১৬৪ ধারায় খালেদার বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ব্যবসায়ী সেলিম ভুইয়া। কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৬৪ ধারায় কোন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়া যায়নি।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। এ সময় তেজগাঁও থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও একটি মামলাটি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলা ২০১০ সালের ১১ মার্চ বাতিল করেন হাইকোর্ট। আদালতের রায়ে বলা হয়, মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র থেকে দেখা যায় শেখ হাসিনা একটি পয়সাও আত্মসাৎ করেননি।
সূত্র.চ্যানেল ২৪ ডেস্ক