রেমিট্যান্স যোদ্ধা লিটন নিখোঁজ মালদ্বীপে,স্থানীয় ব্যক্তি রিমান্ডে

দ্বীপ দেশ  মালদ্বীপে প্রায় ১২ দিন ধরে নিখোঁজ মো.মোহাম্মদ লিটন (৩৫) নামে এক প্রবাসী।তার পরিবার ও  খালাতো ভাই এর কাছ থেকে যানা যায় লিটন গত ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখ থেকে নিখোঁজ রয়েছে।

 

দ্বীপ দেশ মালদ্বীপে প্রায় ১২ দিন ধরে নিখোঁজ মো. মোহাম্মদ লিটন  (৩৫) নামে এক প্রবাসী। লিটন এর দেশের বাড়ি জয়পুর হাট জেলার, আক্কেল পুর থানার আমানপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।

মালদ্বীপের স্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা সন্দেহ করেন মোহাম্মদ নিজাম লিটনকে হত্যা করতে পারেন। কারন, তারা দুজনেই ছিল ফুয়েল বার্জে। আর সেই ফুয়েল পাওয়ারের সবকিছুর দ্বায়িত্বে ছিলেন প্রবাসী লিটন। ফুয়েল কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা সহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বহন করতেন লিটন। তার ধারণা, টাকা চুরি করতে নিজাম লিটনকে হত্যা করেছে। এছাড়াও আমি নিজামকে ২০০৬ সাল থেকে চিনি। সে তখনও চুরি ও মাদকের অপরাধে জড়িত ছিল এবং এখনও নানানরকম ভাবে অপকর্মে লিপ্ত আছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, গত বুধবার নিজামকে কোর্টে তুলা হয় মালদ্বীপ পুলিশের অনুরোধে, তার শুনানির জন্য রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং আদালত নিজামকে ৬০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

 

এই বিষয়ে হাইকমিশনার অফিসে যোগাযোগ করা হলে মিশনের  প্রথম সচিব( শ্রম) সোহেল পারভেজ বলেন, আমরা পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখছি । আশাকরি তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

নিখোঁজ লিটন এর খালাতো ভাই  জিল্লুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার ভাই মালদ্বীপের সমুদ্র বাহী ফুয়েল বার্জে কাজ করেন। ভাইয়ের সাথে গত কিছু দিন যাবত কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি, তার সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি সে নিখোঁজ রয়েছেন তার সহকর্মী ক্যাপ্টেন নিজামকে পুলিশ সন্দেহজনক গ্রেপ্তার করেছেন। তার দাবি আমার ভাই এতো দিন নিখোঁজ হতে পারেনা সে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাই লিটনের হত্যাকারীর বিচার ও তার মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য দাবী জানান তিনি।

এই বিষয়ে আরও খোঁজ নিতে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম গুলো থেকে যানা যায়,স্থানীয় মালদ্বীভিয়ান নাগরিক, মোহাম্মদ নিজাম, (৪৫), বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ লিটন, (৩৫) এই দুই ব্যক্তি মালদ্বীপের  জ্বালানি তেল  ডেলিভারি বোটে (নৌকায়)  কাজ করতেন ।  স্থাানীয় পুলিশ  গত ৩১  ডিসেম্বর নৌকা থেকে  নিখোঁজ  হওয়া  দুই ব্যক্তিকে খোজে  পেতে জনসাধারণের সহায়তা চেয়ে   টুইটে একটি বার্তা  পোস্ট করেছিলো এবং  নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে  তদন্ত শুরু করে মালদ্বীপের পুলিশ।
অনুসন্ধানের একপর্যায়ে, পরের দিন মালদ্বীপের বা-ভেনফারু আইল্যান্ডের কাছে সাগরে ভাসমান একটি অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। তবে তার পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যাইনি। মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য পুলিশ কাজ করছেন বলে জানাযায় এবং স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে লাশটি লিটনের মৃতদেহ হতে পারে বলে তাদের বিশ্বাস

 

স্থানীয় ব্যক্তি মোহাম্মদ নিজামকে গত ৫ জানুয়ারি  মালদ্বীপের রাজধানীতে একটি গেস্টহাউসে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশের নাগরিক মোহাম্মদ  লিটন, (৩৫),  এখনো খোঁজ। কিনবা তার সন্ধান পাওয়া  যায়নি।

স্থানীয় ব্যক্তি নিজামকে যেদিন পাওয়া যায় সেদিনই গ্রেফতার করা হয়।মালদ্বীপের পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে  জানিয়েছেন  মামলাটি এখন হত্যার তদন্তে পরিণত হয়েছে। প্রধান সন্দেহভাজন: স্থানীয় মালদ্বীভিয়ান নাগরিক মোহাম্মদ নিজাম।

মাদকের অপব্যবহার এবং চুরির জন্য স্থানীয় মালদ্বীভিয়ান নাগরিক নিজামকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২০০৮ সালে থিনাধু থেকে। ওই বছর তাকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় তিনবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে দুবার গ্রেপ্তার  হোন চুরি এবং মাদক মামলায় ।  ২০১৫ সালে মাদক সেবনের জন্য এবং ২০২০, ২০২১এবং ২০২২ সালে ক্ষুদ্র চুরির জন্য তাকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং সে জামিনে মুক্তি পায়।

পুলিশ জানিয়েছেন নিজাম এখন টাকা চুরির জন্য হত্যার আশ্রয় নিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।  তাকে ৬০ দিনের জন্য  রিমান্ডে দেওয়া  হয়েছে এবং পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।।

এএনবি২৪ ডট নেট /মা,হা,মু