বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপির লড়াই হলো জনগণের লড়াই। এ লড়াইকে আরও সুসংহত করা হবে। লড়াইয়ে জনগণ ও বিরোধী জোটের বিজয় অনিবার্য।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পেয়েছিলাম ঠিকই। আর সেই গণতন্ত্র আহত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে এবং নিহত হয়েছিল ১৯৭৫ সালে জানুয়ারি মাসে। আগে থেকেই দেশে এ গণতন্ত্র হত্যার প্রধান রূপকার এ আওয়ামী সরকার। তাই এখন এ আওয়ামী সরকারকে গণতন্ত্রের ব্যাপারে কোনো কিছু বলে লাভ নেই।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য আয়োজিত ‘একতরফা নির্বাচনে গণতন্ত্র নির্বাসনে’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সরকার জনগণের সরকার নয়। এ সরকার হচ্ছে ডামি নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার। যে নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নেই সে নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার কখনো জনগণের সরকার হতে পারে না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কট করার পরও নির্বাচন কমিশন ঘুমিয়ে আছে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে রসিকতার অধিকার জনগণ কাউকে দেয়নি। সরকারই বিরোধী দল ঠিক করে দিচ্ছে।
প্রবীণ এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা কারাগারে। গত ২৮ অক্টোবরের পরে বিএনপির ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে গ্ৰেফতার ও দেড় হাজার নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত আদালত চলছে। এভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের স্বপ্ন দেখছে সরকার। এগুলো কোনো কাজে আসবে না। প্রতিপক্ষকে গ্ৰেফতার, নির্যাতন করে দমিয়ে রাখতে পারবে না। সব স্বৈরাচারের একই স্বভাব। তারা ইতিহাস ভুলে যায়। যারাই আপনাদের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে কথা বলবে, আপনারা তাদের জেলে ভরে দিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান এ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তা গত ৭ তারিখের নির্বাচনে তা প্রমাণ করে দিয়েছে। এটা কোনো নির্বাচন কমিশন নয়, এটা হচ্ছে নির্যাতন কমিশন। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সামসুল আলম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব কমরেড হারুন অর রশিদ প্রমুখ।