মালদ্বীপের কর্তৃপক্ষ ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’-এর অংশ হিসেবে ৭০৫ জন প্রবাসীর বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করেছে – এই অপারেশন এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিন্তু অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এবং দেশে ফেরত পাঠানো নয়, তাদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া।
এই মাসের শুরুর দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক চালু করা একটি বিশেষ অভিযান, অবৈধ অভিবাসন রোধ করার প্রয়াসে।
অপারেশন, যা পর্যায়ক্রমে রোল আউট করা হবে, গত ২ মে কে. হিমাফুশি থেকে শুরু করা হয় এই অপারেশন।অপারেশনের প্রথম ধাপে মালদ্বীপের সকল অভিবাসী শ্রমিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মুখপাত্র ফাথিমাথ রিফাথ বুধবার একটি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছে যে হিমাফুশিতে শেষ হওয়ার সাথে সাথে মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় দ্বীপ এর নাম ঘোষণা করবে যেখান থেকে আবারও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইহুসান বলেছে যে মন্ত্রণালয় “শীঘ্রই” আরও পাঁচটি অঞ্চলে অভিযান সম্প্রসারিত করবে।
এপ্রিলে ‘আহা’ পাবলিক ফোরামের একটি অধিবেশনে, মন্ত্রী ইহুসান বলেন যে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সমস্যাটি তিন বছরের মধ্যে সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন অভিবাসীদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ ছিলো অপারেশনের প্রথম ধাপ, যা এক বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন যে একবার সমস্ত অভিবাসীদের ডেটা সংগ্রহ করা এবং একটি সিস্টেমে প্রবেশ করা হলে, সরকার তারপরে সমস্ত অনথিভুক্ত অভিবাসীদের নিয়মিত করবে।
মন্ত্রী ইহুসান সতর্ক করে দিযে বলেন যারা সুযোগে নিয়মিত বৈধ হতে ব্যর্থ হবে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।তবে এই অপারেশন এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিন্তু অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এবং দেশে ফেরত পাঠানো নয়, তাদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া।
![](https://i0.wp.com/anb24.net/wp-content/uploads/2024/05/l_2024_05_02_040619_r3lvd6stia2m81q7w5fkcyhgbzpxj4u9oen_EN_.jpg?resize=696%2C464&ssl=1)