Home আন্তর্জাতিক মালেতে বিড়ালের সংখ্যা বাড়ায় জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে।

মালেতে বিড়ালের সংখ্যা বাড়ায় জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে।

মালদ্বীপের রাজধানী নগরীতে সাম্প্রতিক সময়ে জনসাধারণের সবচেয়ে বড় অভিযোগ রাস্তায় বিড়ালের সংখ্যা বেশী হয়ে গেছে। শহরের রাস্তায় আগে থেকেই বিড়াল ছিলো। তবে এখন এর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে  বেড়ে গেছে । এতে রাস্তাঘাটের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হচ্ছে ।বিড়ালের মল
জনসম্প্রদায়ের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

 

সখ করে  অনেকেই নিজের বাড়িতে বিড়াল পুষে থাকে  ।  রাজধানীতে রাস্তায় দেখা যায় অনেক মানুষ রাস্তায় বিড়ালকে খাবার দিয়ে লালন পালন করে। রাজধানী মালে জনসাধারণের সবচেয়ে বড় অভিযোগ রাস্তা ও পাবলিক প্লেসে বিড়ালের মল দেখা যায় এখন অনেক বেশি।

মালদ্বীপের রাজধানী শহরে বিড়ালের  সমস্যা  নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মালদ্বীপের জনসাধারণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেউ কেউ বলেছে বিড়ালের মল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ তাই মলদ্বারা রোগের  প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে সরকারি কর্তৃপক্ষকে স্থায়ী সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লিখেছেন,বিশ্বে অনেক মানুষ আছে যারা বিড়ালের মল থেকে অন্ধ হয়ে গেছে। এখন মালে শহরে প্রচুর বিড়াল দেখা যায় এবং কিছু রাস্তায় তাদের মলছেয়ে আছে। এটা একটা সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মালদ্বীপের রাজধানীতে অনেক রাস্তায়  বিড়ালের মল দ্বারায় প্রচুর ময়লা জমে আছে। একটি বিপজ্জনক রোগ এখানকার মানুষকে আক্রান্ত  করার আগে দয়া করে কিছু একটা ব্যাবস্থা করুন।

 

টক্সোপ্লাজমোসিস

বিড়ালের মল দ্বারা সৃষ্ট অকুলার টক্সোপ্লাজমোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ/ ছবি: আমেরিকান একাডেমি অফ অফথালমোলজি

ডাক্তার ফয়সাল বলেন,বিড়ালের মল দ্বারা প্রভাবিত রোগের নাম টক্সোপ্লাজমোসিস। রোগটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়কেই আক্রান্ত  করে। এই রোগটি গর্ভবতী মহিলাদের ভ্রূণের ত্রুটির উচ্চ ঝুঁকির সাথে যুক্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ রোগে কেউ কেউ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুদের অন্ধত্ব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সালমোনেলোসিস

একজন মানুষ বিড়াল থেকে চামড়া বাহিত সালমোনেলোসিস সংক্রামিত / ছবি: মার্ক ম্যানুয়াল

ফয়সাল আরও বলেন, সালমোনেলোসিস। এটি ও বিড়ালের  মল স্পর্শ করার কারণে হয়। বিড়ালের  মল  স্পর্শ করলে এবং সঠিকভাবে হাত না ধোয়ার কারণে এই রোগ ছড়াতে পারে।  এই রোগটি মানুষের ত্বককে প্রভাবিত করে এবং লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

মালদ্বীপের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, কিউটেনিয়াস ল্যাভামিগ্রান্স মালদ্বীপের একটি রোগ। বিড়ালের  মল দ্বারা সৃষ্ট এই রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এবং আক্রান্ত হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মালে রাস্তাঘাটে বিড়াল ও তাদের মল-মূত্রের কারণে মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং এটি চিকিৎসকদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।এ সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।

মালের সিটি কাউন্সিলের পক্ষথেকে চলতি বছরের জানুয়ারীতে বিড়ালের সৃষ্ট সমস্যার স্থায়ী সমাধান দিতে বিড়ালের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যদিও এখন পর্যন্ত তা কাজকর করা হয়নি।

এ ব্যাপারে মালে সিটির কাউন্সিলের মেয়র ডাঃ মোহাম্মদ মুইজ্জুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, বিড়াল পালনের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই চলছে। তিনবার ঘোষণার পর ঠিকাদারের সঙ্গে স্থাপনা নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে এই সুবিধা চালু করা হবে।

তিনি বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো ঠিকাদার না পাওয়া। আমরা তিনবার ঘোষণা দিয়েছি এবং এখন আমাদের ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । আমরা এপ্রিলে কাজ শুরু করার কথা ভাবছি।

তিনি আরাও বলেন যে ভিলিমালাইতে বিড়ালের জন্য সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করতে জমির অভাবে বিলম্বিত হয়েছিল। বিড়ালের বসবাস করার জন্য মালে শহরেও একটি স্থাপনা নির্মিত হবে এইজন্য মালে কোন নির্দিষ্ট এলাকা এখনো  নির্ধারণ করা হয়নি। মালে শহরে জনগণের যেনো সমস্যা না হয় এমন জায়গায় বিড়ালের জন্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।

মেয়ের বলেন মালে অঞ্চলে জনগণের জনস্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত এমন বড় সমস্যাগুলিকে  দ্রুত সমাধান করা হবে, তা নাহলে জনগণের স্বাস্থ্য সমস্যা আরও বাড়বে।

 

এএনবি২৪ ডট নেট /স্থানীয় মিডিয়া।

সর্বশেষ খবর

এনবি ২৪ একটি বহুল পঠিত অনলাইন বাংলা সংবাদপত্র।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত – এনবি ২৪

কোডিং এবং ডেভেলপমেন্ট – গ্রোউজ আইটি