মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পুর্ন করেছে নির্বাচন কমিশন

আগামী শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ।

মালদ্বীপের শনিবার প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনের প্রস্তুতি  সম্পুর্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শনিবারের  প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পুর্ন  হয়েছে ব্যালট পেপার ব্যালক বক্স সহ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়  সরঞ্জাম প্রতিটি দ্বীপে ও দেশের বাহিরে পাঠানো হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর বিদেশি পর্যবেক্ষক ও পর্যবেক্ষকরা মালদ্বীপে আসতে শুরু করেছেন।মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল হাবীব বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ  তারা পৌঁছে যাবে।

 বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশ থেকে  আসেন  বাংলাদেশের ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর নেতৃত্ব একটি  প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সাত সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মালদ্বীপ এসে পৌঁছালে এই প্রতিনিধি দলকে মালদ্বীপের ভেলেনা আন্তর্জাতিক  বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে অভিবাদন জানান প্রবাসী সোশ্যাল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে  প্রবাসী সোশ্যাল ওয়ার্কার্স এসোসিয়েশনের সকল সদস্য বৃন্দ। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন  মালদ্বীপের প্রবাসী সাংবাদিক বৃন্দ।  

অতীতের মতো এবারও মালদ্বীপের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ১৪৩টি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এবং ২২টি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক, যারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন থাকবে। 

 কিন্তু মালদ্বীপের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করবে মালদ্বীপের নাগরিকরা, যারা ভোট দেবেন শনিবার ।

আগামীকাল শনিবার ৯ সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দ্বিতীয় দফায় ভোটের প্রয়োজন হলে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।’

মালদ্বীপের এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮২ হাজার, ৩৯৫ জন যা গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়ে ২৭ হাজারের ও বেশি।

মালদ্বীপের নির্বাচনী ও  রাজনীতির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, আটজন প্রেসিডেন্ট  প্রার্থী 

 ৯ সেপ্টেম্বর  অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী  আট প্রার্থীর মধ্যে তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং পাঁচজন নিজ নিজ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

 এই নির্বাচনের প্রধান প্রার্থী হলেন মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট  ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ , যিনি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ক্ষমতাসিন দল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি) থেকে  সমর্থিত। তাকে প্রার্থী করায় ক্ষমতাসীন দলের সিদ্ধান্তে দলে বিভক্তি দেখা দেয়। 

মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট  মোহাম্মদ নাশিদ কিছু এমডিপি সংসদ সদস্যের সাথে এমডিপি প্রেসিডেন্ট  প্রার্থী বাছাইয়ে বৈষম্যের কারণে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। 

মালদ্বীপের প্রগ্রেসিভ পার্টি (পিপিএম) এবং প্রগ্রেসিভ ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) জোট মালে মেয়র ডাঃ মোহাম্মদ মুইজুকে প্রার্থী করেছে।জোট প্রার্থী হিসেবে। পিপিএম নেতা এবং মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অযোগ্য ঘোষণা করেে  দেওয়ার পরে তিনি জোটের সর্বসম্মত প্রার্থী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ  ইয়ামিন  তিনি একটি অর্থ পাচারের মামলায় এগারো বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। পিপিএম-পিএনসি জোট নির্বাচনে আবদুল্লাহ ইয়ামিনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে  জুলাই মাসে উচ্চ আদালতে  আপিল করেছিল।

 কিন্তু  মালদ্বীপের সংবিধানের ১০৯ (এফ)109(f) অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে আবেদনটি খারিজ  করেছে, যা একটি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং জেলের সাজা ভোগকারী ব্যক্তিকে  প্রেসিডেন্ট পদে  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে।  

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আবদুল্লাহ ইয়ামিন পিপিএমকে নির্বাচন বয়কটের ডাক দেন। কিন্তু অনেক আলোচনার পর, জোট প্রেসিডেন্ট  প্রার্থী হিসেবে ড. মোহাম্মদ মুইজুকে সমর্থন করতে সম্মত হয়।  তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ থেকে ১৬ নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট  ড.অহিদ এর   নেতৃত্বাধীন সরকারে গৃহায়ন মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। 

জুমহুরী পার্টির (জেপি) নেতা ক্ষাসিম ইব্রাহিমও প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং মালদ্বীপের নির্বাচনী রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা যিনি জোটের অংশীদার হিসেবে ২০১৩ সালে পিপিএম সরকার এবং ২০১৮ সালে এমডিপি সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

 তিনি একটি ব্যবসায়িক সংগঠন ভিলা গ্রুপের চেয়ারম্যানও।তিনি ‘মালদ্বীপ সংসদের  ১৮ তম  স্পিকার পদে অধিষ্ঠিত হয়ে  নভেম্বর ২০১৮ থেকে মে ২০১৯ পর্যন্ত মালদ্বীপের স্পিকারের  দায়িত্ব পালন করেছে। 

 তিনি ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রথম রাউন্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। তিনি ২০১৩  সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় পিপিএম প্রার্থী আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে সমর্থন, মোহাম্মদ নাশিদের বিরুদ্ধে, যিনি সংকীর্ণ ব্যবধানে নির্বাচনে হেরেছিলেন।  

প্রথম রাউন্ডে  ৫০ শতাংশ    সংখ্যাগরিষ্ঠতা যদি কেউ  নির্বাচনে অর্জন করতে না পারে দ্বিতীয় দফায় ক্ষাসিম ইব্রাহীম যার সাথে কোয়ালিশন করে সেই দলই সরকার গঠন করবে বলে আশা করেছে সাধারণ মানুষ।

 দ্য ডেমোক্র্যাটস, ক্ষমতাসীন দল এমডিপি -এর একটি বিচ্ছিন্ন উপদল, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বে চলতি বছরের   জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছে৷ এটি তরুণ সংসদ সদস্য ইলিয়াস লাবেদকে প্রেসিডেন্ট  প্রার্থীর  প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘোষণা  করছে ৷ তিনি এমডিপির একজন গুরুত্বপূর্ণ এবং সুপরিচিত সদস্য ছিলেন এবং অতীতে  এমডিপির  কমিটিতে ছিলেন কিন্তু মোহাম্মদ নাশিদের সমর্থনে এমডিপি ত্যাগ করেছে।

২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল মালদ্বীপ ন্যাশনাল পার্টি এমএনপি  তার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং দলের সভাপতি মোহাম্মদ নাজিমকে প্রেসিডেন্ট  প্রার্থী পদে।প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘোষণা  করছে তিনি ধানগেঠি আসনের সংসদ সদস্যও (এমপি)।

মালদ্বীপ রিফর্ম মুভমেন্ট এমরাএম   এর নেতা, আহমেদ ফারিস মামুন , স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, কারণ দলটি মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের  আইন অনুযায়ী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত  হওয়ার জন্য  ন্যূনতম  সদস্য সংখ্যা ৩০০০ দেখাতে পারেনি। তিনি মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল  গাইয়ুমের ছেলে, যিনি ৩০ বছর  ধরে মালদ্বীপ শাসন করেছেন ১৯৭৮ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত। 

অন্যজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারিস পিপিএম সরকারের অধীনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, কিন্তু নেতৃত্বের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে পদত্যাগ করেন। 

সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হাসান জামিল এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উমর নাসির স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে।  উমর নাসির ২০০৮ সালে ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু নির্বাচনে মোহাম্মদ নাশিদের কাছে হেরে যান। 

প্রার্থীদের   অঙ্গীকার এবং প্রতিশ্রুতি ঃ

গত মাসের ১০ তারিখ থেকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা জোর প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে  তরুণরা দেশের  জনসংখ্যার উল্লেখ যোগ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করে, সমস্ত রাজনৈতিক দল দেশের তরুণদের মুখোমুখি হয়েছে তাদের  সমস্যাগুলিকে জানার  চেষ্টা করেছে। দল গুলো  ছাত্রদের সমস্যাগুলির দিকে নজর দিয়ে  প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যেমন জনগণের চাহিদা মত ঋণ  বাড়ানো, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ কমানো  কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং স্নাতক ডিগ্রি স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া রাজনৈতিক দল ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

এবারের নির্বাচনে রাজধানী মালেতে ১৪৬টি, হুলোমালেতে ৪৭টি, ভিলিমালে ১০টি, অ্যাটলে ২৩৭টি এবং দেশের বাইরে ১২টি ব্যালট বক্স স্থাপন করা হবে।

মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের মতে, ২৮২৩৯৫ জন এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য এবং তাদের মধ্যে, আনুমানিক ২৭০০০ জন নতুন ভোটার  প্রথমবার ভোট দেবেন ।

প্রকাশকঃএম এইচ, কে , উপদেষ্টা সম্পাদক,জাহাঙ্গীর আলম জাবির, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃনির্বাহী সম্পাদকঃ বার্তা সম্পাদকঃ সাইদুর রহমান মিন্টু এএনবি২৪ ডট নেট নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে । তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি anb24.net is one of the most popular Bangla News publishers. It is the fastest-growing Bangla news media that providesective news within the accurate and obj shortest poassible time.anb24.net intends to cover its reach throughout every district of the country, also global news of every segment such as politics, economics, sports, entertainment, education, information and technology, features, lifestyle, and columns anbnewsbd@gmail.com /mahamudulbd7@gmail.com mahamudul@anb24.net