
মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত সিঙ্গাপুর বাজার নামক স্থানে যেখানে পুরাতন মালামাল বেচাকেনা হয় নিলানে সেই খানে আগুন লেগেছে।
সোমবার ৯ জানুয়ারী ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে মালদ্বীপের এমএনডিএফ। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে।আগুন লাগার পর পর প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়ে আশেপাশে লোকজন।
পাশে থাকা মালদ্বীপের রাজধানীতে মালে সিটি কাউন্সিলের আবাসন ব্লকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে যেখানে বিদেশি শ্রমিকরা থাকেন জানা যায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের বসবাস বেশি সেই ব্লকে। তবে কেউ হতাহত হয়নি,আগুন লাগার পর পর সিটি কাউন্সিলে কর্মরত সবাইকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। এখনো কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নাই তবে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক ।
আবাসন ব্লকে থাকা বাংলাদেশিদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তাদের রুমে থাকা পাসপোর্ট, টাকা পয়সা,মোবাইল সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ক্ষতি হয়েছে ।কেউ কোন কিছু-ই সাথে নিয়ে বাসা থেকে বেড় হতে পারে নাই। কুমিল্লার প্রবাসী মোহাম্মদ রিপন, বলেন আমাদের রুমে ছিলো মালদ্বীপের রুপিয়া, ইউএস ডলার যা অনেকেই দেশে যাবে পাঁচ ছয় মাস ধরে দেশে টাকা না পাঠিয়ে দেশে যাওয়ার সময় কেনাকাটা কারার জন্য জমানো টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। চাঁদপুরের মোশাররফ সহ অনেক প্রবাসীদের মতে তাদের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কোন কিছু নিয়ে আসতে পারেনাই।
পাশে থাকা আবাসন ব্লকে মালে সিটি কাউন্সিলের সমস্ত কর্মচারীকে এখন অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ইমাদউদ্দিন স্কুল মাঠে নিরাপদে ছড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার স্থান ও অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিন,মালে শহরের সিটি কাউন্সিলার,মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এডমিনাল এসএম আবুল কালাম আজাদ,মিশনের প্রথম সচিব মোহাম্মদ সোহেলপারভেজ,কল্যাণ সহকারী জসিম উদ্দীন।
অগ্নিকাণ্ডস্থান পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি মালদ্বীপের ডিফেন্স ফোর্সের প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং এখানে এসে মালে সিটি কাউন্সিলারের সাথে কথা বলেছি, তারা আমাকে বলেছে সকল বাংলাদেশি নাগরিক নিরাপদে আছেন এবং অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র থেকে আজকের মধ্যেই স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেবেন।
মালে সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে যে আবাসন ব্লকে ১৬৬ জন কর্মী রয়েছে। তাদের সবাইকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
প্রবাসীদের অভিযোগ এখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন লাগানো হয়েছে।
উল্লেখ, এই নিলান বাজারে ১৫ এবং ১৭ সালে ও দুটি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। দুটি ঘটনাই অগ্নিসংযোগ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।