বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি প্লাবিত সড়ক এর সুড়ঙ্গ থেকে ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
মধ্য সাউথ কোরিয়ার চেওংজু শহরের একটি বন্যাকবলিত টানেলে আটকে পড়া যাত্রীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কাজ করার সময় উদ্ধারকারী দল ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২ হাজার ২৪৭ ফুটের ওই টানেলে কতজন আটকা পড়েছে, তা এখনও জানা যায়নি তবে সেখানে ১৫টি যানবাহন ছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত অন্তত ৯ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাউথ কোরিয়ায় গত সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টিতে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চরম বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা, ভূমিধস এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক শহর। শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে সেই টানেলের পাশে থাকা একটি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে দ্রুত আন্ডারপাসে এসে ভরে যায়। তখন সেখানে থাকা গাড়ি এবং বাসের যাত্রীরা পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
ওসোং শহর যেখানে টানেল প্লাবিত হয়েছিল, সেখানে একটি বাসের ভিতর থেকে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সেখান থেকে জীবিত ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিবার বলছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কার্যকরভাবে সাড়া দিলে মৃত্যু ঠেকানো যেত।
বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে,এই ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগে, নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ অফিস উদ্বেগজনক জলস্তর সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছিল। তখনই টানেল এলাকার চারপাশে যানবাহন সরিয়ে নেয়া উচিত ছিল।
অন্যান্য প্রাণহানির বেশিরভাগই ছিল পার্বত্য নর্থ গিয়ংসাং অঞ্চলে, যেখানে ভূমিধস পুরো বাড়িঘর ভেসে গেছে। শনিবার সাউথ কোরিয়া জুড়ে প্রায় ৩০০মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোরিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এই বৃষ্টিপাতের হার ১ হাজার মিমি থেকে ১ হাজার ৮০০ মিমি।