Home কুমিল্লা খবর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ প্রাক্তন ছাত্রদের প্রতিবাদ

মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ প্রাক্তন ছাত্রদের প্রতিবাদ

কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ফকির বাজার ইসলামিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, বুড়িচং উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সম্মানিত সভাপতি, জাতীয় ইমাম সমিতি বুড়িচং উপজেলার সভাপতি, জমিয়তুল মোদার্রেছিন বুড়িচং উপজেলার সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট বুড়িচং উপজেলার সভাপতি, তিন বারের উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ (মাদ্রাসা পর্যায়ে) মাওলানা মুফতি কাজী আবুল বাশার-এর বিরুদ্ধে গত ০২/১০/২০২২ ইং তারিখে “আজকের সংবাদ” এবং “খবর বাংলাদেশ” পত্রিকায় “বুড়িচং-এ এক অধ্যক্ষের জালিয়াতি” শিরোনামে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রকাশের তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

মাদরাসাটির সাবেক সভাপতি- মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক তার একক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে কমিটির অন্যান্য সদস্যদেরকে অপমান করায় ০৯ জন সদস্য পদত্যাগ করেন। বিষয়টি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড মাদরাসাটির কমিটি ভেঙে দেয়।

 

কমিটি ভেঙ্গে দেয়ায় পদ হারিয়ে সাবেক এই সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে মিথ্যা অভিযোগও দাখিল করেন। যেটির শুনানি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ধার্য করা হয়েছিল ২৭/০৯/২০২২ ইং তারিখ বেলা ২ ঘটিকায়। তার নিকট কোন প্রকার প্রমাণাদি না থাকায় তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। উল্লেখ্য তিনি অধ্যক্ষ মহোদয়কে একাধিকবার অবৈধ কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন ভাবে অধ্যক্ষ মহোদয়কে হয়রানির চেষ্টা করে আসছিল।

 

এমনকি এই সভাপতির অন্যান্য সদস্যদের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের দূরত্ব থাকায় গত ৬ মাস যাবৎ কোন সভা করেননি, অধ্যক্ষ মহোদয় এ বিষয়টি এমপি মহোদয়কে জানিয়ে প্রতিষ্ঠান সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে কয়েকটি সভা করেন। সভাপতি হঠাৎ একদিন মাদ্রাসায় গিয়ে অফিস সহকারীকে ভীতি প্রদর্শনপূর্বক রেজুলেশন বই নিয়ে কয়েকটি রেজুলেশন এর পাতা সবার সামনে ছেড়ে ফেলে।

এ বিষয়টি মাননীয় এমপি মহোদয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জ্ঞাত আছেন।

আনীত মিথ্যা অভিযোগের মধ্যে বলা হয় অধ্যক্ষ অবৈধভাবে তার পুত্রকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। কিন্তু স্বঘোষিত এই শিক্ষাবিদ এটাই জানেন না এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানে চাইলেই কমিটি অথবা অধ্যক্ষ কোন শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না। এটি তৃতীয় গণ বিজ্ঞপ্তিতে NTRCA- এ কর্তৃক সুপারিশের ভিত্তিতে আরবি প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এ বিষয়টি নিয়ে NTRCA- এর শরণাপন্ন হলে তারা বিষয়টি সরকারি একটি সুপারিশ অবমাননার শামিল উল্লেখ করে অতি দ্রুত মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন এবং তাদের পক্ষ থেকে যথাযথ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

মোহাম্মদ আলী আরো অভিযোগ করেন, তিনি এবং তার কথিত আইনজীবী অধ্যক্ষের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন এবং পুত্রের সাথে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানান। এই তথ্যটিও সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং শতভাগ মিথ্যা।

এই বিষয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বড় ছেলে মাওলানা কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বাশারী “আজকের সংবাদ” পত্রিকার সম্পাদক জনাব এস এম আবু সাঈদ সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মোহাম্মদ আলী মানিক গত ০২/১০/২০২২ ইং তারিখে আমার একজন রিপোর্টারের মাধ্যমে স্বহস্তে বানানো কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে মিথ্যা এই রিপোর্টটি প্রকাশ করে, যেটি আপনার আনীত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনলাইনে প্রকাশিত কমিটি ভেঙে দেয়ার চিঠি এবং অধ্যক্ষ কর্তৃক উপজেলা প্রশাসনের নিকট মিথ্যা অভিযোগের খন্ডন দাখিলকৃত পত্রটির মাধ্যমে প্রমাণিত। আমার পত্রিকার মাধ্যমে এমন একটি মিথ্যা, সম্পূর্ণ বানোয়াট এই সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ায় আমি অনুতপ্ত এবং আমার পত্রিকার মাধ্যমে প্রতিবাদ শিরোনামে এই বিষয়টির সত্য ঘটনা প্রকাশে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

মাওলানা কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বাশারী আরো দাবি করেন, ইতিপূর্বে এই সমাজ প্রত্যাখ্যাত এই ব্যক্তি বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি, সাবেক সফল নেতা মরহুম আব্দুল মতিন খসরু সাহেবের কাছ থেকে ১ মেয়াদে ফকির বাজার স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতির মনোনয়ন নিয়ে সভাপতি হন। সভাপতি হওয়ার পর সেখানে ও শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং দলাদলি ও অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। ফকির বাজার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরও একই পন্থায় নাম সর্বস্য কিছু পত্রিকায় ঐতিহ্যবাহী ফকির বাজার স্কুল এন্ড কলেজের সুনাম সুখ্যাতি নষ্ট করার অপচেষ্টা, অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছিল।

এই স্বঘোষিত শিক্ষাবিদ-সভাপতি হিসেবে যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থাকেন সেই প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে আসেন! তার এই এহেন কর্মকান্ডের কারণে সেখান থেকে অপমানিত হয়ে আসতে হয়েছে এলাকার মানুষ এই বিষয়গুলি সম্পর্কে অবগত আছেন।

এ বিষয়টি এমপি মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হলে পরবর্তীতে সভাপতি হিসেবে তাকে আর মনোনয়ন দেননি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করা এই ব্যক্তি যেন বিভিন্ন মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আর কোন প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে স্থান না পায় এ ব্যাপারে আমাদের কুমিল্লা-৫ আসনের মাননীয় এমপি, জননন্দিত নেতা এডভোকেট আবুল হাশেম খান মহোদয়ের সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রাক্তন ছাত্র সংসদ
ফকির বাজার ইসলামিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসা, বুড়িচং, কুমিল্লা।

সর্বশেষ খবর

এনবি ২৪ একটি বহুল পঠিত অনলাইন বাংলা সংবাদপত্র।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত – এনবি ২৪

কোডিং এবং ডেভেলপমেন্ট – গ্রোউজ আইটি