বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের অভিযোগে আজ (৩০ জুলাই) রোববার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর সাতটি থানায় পৃথক ১১টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর ও কদমতলী থানায় একটি করে, যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি, বিমানবন্দর থানা একটি, উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি ও উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।
[bs-white-space]
দায়ের করা এসব পৃথক মামলায় উল্লিখিত আসামি ৪৬৯ জন। ১১ মামলায় ৯টি পুলিশ বাদী, দুটি মামলার বাদী ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। রোববার ৩০ জুলাই দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, গতকাল শনিবার ডিএমপি অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও বিএনপি একটি বেআইনি সমাবেশ করে। বিএনপির বেআইনি সমাবেশ থেকে অগ্নিসংযোগ করে, বাস ভাঙচুর করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, এপিসি ভাঙচুর করে ও পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়।
এসব অপরাধে ঢাকা মহানগর এলাকায় মোট সাতটি থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এসব মামলায় এজাহারে উল্লিখিত আসামি ৪৬৯ জন। মামলায় উল্লিখিত আসামিসহ অন্য আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪৯ জন। ডিবি পুলিশ, ক্রাইম ডিভিশনসহ অন্য বিভাগের টিম আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।
[bs-white-space]
দায়ের করা এসব মামলার বাইরেও আরও কয়েকটি থানায় (দারুস সালাম, ডেমরা ও উত্তরা পশ্চিম থানা) বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানুল্লাহ আমানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে কি না তা মামলার এজাহার পর্যালোচনা করলে জানা যাবে।
[bs-white-space]
গতকাল বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সশস্ত্র অবস্থায় ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না? নাকি তাদের পুলিশকে সহায়তা জন্য রাখা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন: গতকাল আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ছিল কিন্তু পুলিশের অনুমতি না থাকায় তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। বিএনপির কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়ায় তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করেছেন। এখানে পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।