চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় এক ও অদ্বিতীয় জনপ্রিয়, জননন্দিত জননেতা বিএনপির সাবেক সফল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন।কচুয়া উপজেলার প্রতি ইঞ্চি মাটি ড. মিলনকে চিনে জানে কে এই মিলন?কচুয়ার জনগণ ড. মিলন ব্যতীত অন্য কাউকে খুঁজে পায় নি কারণ ড. মিলনের বিকল্প মিলন নিজেই। তাই কচুয়ার জনগণ ড. মিলনকে পরম যত্নে গ্রহণ করে নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ডিপার্টমেন্টের মেধাবী শিক্ষার্থী ড. মিলন স্নাতক শেষ করে ১৯৮২ সালে উচ্চতর শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া ছাত্রনেতা ড. মিলন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পান।যুক্তরাষ্ট্র ও বহিঃবিশ্বে বিএনপিকে ঢেলে সাজানোর জন্য বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত করেন। ড. মিলন ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ-২৬০ চাঁদপুর-১(কচুয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে বিএনপি। বিরোধী দলের সাংসদ এই স্মার্ট নেতা দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।

২০০১ সালে সাধারণ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে চার দলীয় ঐক্যজোট সরকার গঠন করে। আবারও চাঁদপুর -১ (কচুয়া) থেকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন আজকের ড. মিলন। কচুয়ার মানুষের কাছে বনে যান জননেতা। বেগম খালেদা জিয়ার সরকারে প্রথমবারের মত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আজকের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের আস্থাভাজন ড. মিলন। শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে নকল নামক ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে জাতিকে নকলের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন। ড. মিলনের দুঃসাহসী ক্যারিশমাটিক কর্মকান্ডে মুগ্ধ হয়ে তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তাঁকে বাংলার ক্লিংটন বলে সম্বোধন করতেন।৷

শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে নকল দূর করে দেশে বিদেশে সরকারের প্রশংসার পাত্র হন ড. মিলন। যা এখনো সারা দেশে ড. মিলনের জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলে। ২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে কচুয়ার জনগণ তাদের জনপ্রিয় নেতাকে জয়ী করতে ভুলেন নাই কিন্তু আওয়ামী সরকার হাইকোর্টে রায় পাওয়ার পর ও তাঁকে পার্লামেন্টে যেতে দেন নি। কচুয়ার ২৪১ টি গ্রামের জনপ্রিয় এই নেতার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় আওয়ামী সরকার।

তারা একের পর এক মিথ্যা,বানোয়াট,ভূয়া ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে পদর্যুস্থ করার চেষ্টায় লিপ্ত হয় তবু্ও ড. মিলনের জনপ্রিয়তায় ভাটা পরেনি। আওয়ামী সরকারের মিথ্যা বানোয়াট মামলায় প্রায় দের বছর কারাভোগের পর বিদেশে চিকিৎসার জন্য পারি দেন এই নেতা। ২০১৪ সালে ভোট বর্জন করে বিএনপি । অতপর বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে মালয়েশিয়ার Islamic University of Malaysia থেকে Human capital and socio-economic development in Bangladesh the role of technical and Vocational education and training বিষয়ে ড.ডিগ্রি লাভ করেন।

২০১৭ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে আবারো আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত হন। ২০১৮ সালে মিডনাইট নির্বাচনের আগে চট্রগ্রাম থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন , কারাগারেই বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতের দুঃসংবাদ শুনেই জনপ্রিয় এই নেতা। প্রায় ৪৫দিন কারভোগের পর জামিনে মুক্তি লাভ করেন। দলের জন্য দেশের জন্য আওয়ামী দুঃশাসনের শিকার হওয়া মিলন দমে যাওয়ার পাত্র নন। বিভিন্ন সভা সেমিনারে সরকারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

এরই মধ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উপর ৮ টি বই লিপিবদ্ধ করেন ড. মিলন। গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল এই বই গুলো উৎসর্গ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান,ও ডা. যোবায়েদা রহমানকে। সারা বাংলাদেশ জনপ্রিয় এই নেতা প্রায় প্রতি দিনই মিডিয়া পাড়ায় সরকারের দুর্নীতি,লুটপাট, অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দেশের মানুষকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন সরকারের অপশাসন।

সরকারের ও নিজ দলের কতিপয় বিপদগামীদের ষড়যন্ত্রের বার বার শিকার হচ্ছেন ড. মিলন।২০২২ সালে কচুয়ায় এক ইফতার মাহফিলে যাত্রা পথে আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হন। তবুও তিনি নিজ দর্পে দলকে সু সংগঠিত করেছেন। ড. মিলনের জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলে গত ২৬শে নভেম্বর ২০২২ সালের কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেসে।কুমিল্লার মানুষদের ভাষ্যমতে “কচুয়ার মিলনের মত এতো বড় শো-ডাউন আর কেউ কুমিল্লায় দিতে পারে নি”। কচুয়ার আওয়ামীলীগাররা ও এটা বিশ্বাস করে মিলন ছাড়া কচুয়া বিএনপি অচল, আওয়ামীলীগের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত দ্বিতীয় মিলন এখনো কচুয়ায় জন্মায় নি।

বিএনপিতে মিলনের বিকল্প মিলন নিজেই। দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপির সারা দেশের ন্যায় কচুয়া উপজেলা বিএনপিকে তাদের হারানো জৌলুস পুনরায় ফিরে পেতে হলে কচুয়ায় ড. মিলনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজন।কচুয়ায় মিলনের উপস্থিতি মানেই আওয়ামী লীগের আতঙ্ক।

কচুয়ার দ্বিধা বিভক্ত ঘুমন্ত বিএনপিকে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথ দখলে হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালা ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলনের বিকল্প নেই। ড. মিলন মানের কচুয়ার ২৪১ গ্রামে মিলনের পদধ্বনি । তাই আগামী দিনে জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামের সফলতা ও নির্বাচনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জয়ী হওয়ার মতো বিএনপির একক নেতা ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন।

কচুয়ার আসনটি’কে ড. মিলনকে জয়ী করে দেশনায়ক তারেক রহমানকে উপহার দিতে কচুয়া উপজেলার তৃণমূল বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।