বাংলাদেশের একজন মানুষ ভূমিহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না এটিই আমাদের লক্ষ্য।প্রধানমন্ত্রী

গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর ও জমি দেওয়ার মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন বদলে যাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটিই আমাদের লক্ষ্য।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনস অব ব্যাংকসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। সৌজন্য সাক্ষাতে এসে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৬টি ব্যাংক অনুদান হিসেবে ১১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেয়।

 

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

কেএম শাখাওয়াত মুন জানান, বিভিন্ন সময় অনুদান দেওয়ার জন্য ব্যাংকারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই। যেকোনো দুযোর্গ-দুর্বিপাকে আমার বলতেও হয় না আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই চলে আসেন এবং সহযোগিতা করেন।

 

তিনি বলেন, আপনাদের প্রদত্ত অনুদান যথাযথভাবে মানুষের কাজে লাগে। অনেক মানুষের কাজে লাগে, আপনারা হয়তো চিন্তাও করতে পারবেন না, কত মানুষকে আমরা কতভাবে সাহায্য করি চিকিৎসা, ঘর-বাড়ি সব বিষয়ে।

আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া মানুষের জীবন বদলে যাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া মানুষের হাসি, তাদের তৃপ্তি, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না।

 

তিনি বলেন, ঘরের সঙ্গে তাদের কিছু জমিও দেওয়া হচ্ছে। জীবন-জীবিকার জন্য আমরা নগদ টাকা দিচ্ছি। পাশাপাশি ট্রেনিং করিয়ে দিচ্ছি। ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে তারা শুধু একটি ঘরই পাচ্ছে না, কর্মসংস্থানের একটি ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে সাত লাখ পরিবার, আমরা যদি ৫ জন করেও ধরি। তাতেও দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, খুবই দুস্থ, যাদের কোনো ঠিকানা ছিল না, থাকার জায়গা ছিল না। কারো বারান্দায়, গোয়ালঘরে, ফুটপাতে বা রাস্তাঘাটে পড়ে থাকত, একটি ঘর পাওয়ার পর আসলে তাদের জীবনটাই পাল্টে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে সেখানে শাক-সবজি চাষ করছে, হাস-মুরগি পালন করছে। কুটির শিল্প করছে অনেকে। অনেকে সেখানে দোকানও দিয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিনিময় করছে, কেনাবেচা করছে। তারা জীবন জীবিকার একটা পথ খুঁজে পাচ্ছে। মানুষের জীবনটা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।

দেশের অধিকাংশ গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ইতোমধ্যে ঘর দেওয়া হয়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অল্প কিছু বাকি আছে। সেগুলোও তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

আশ্রয়ণের প্রথম পর্বে ব্যারাক হাউজগুলোকেও আরও উন্নত করে দেওয়া কিংবা তাদের নতুন ডিজাইনের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, শুধু সরকার না, সবাই মিলে দেশকে উন্নয়নের পথে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর পর জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এদেশে যারা ভূমিহীন আছে, তাদের তিনি ঘর দেবেন, জমি দেবেন এবং পুনর্বাসন করবেন। এ কাজটা শুরু করেছিলেন নোয়াখালীর চরে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে প্রথমে আমরা ব্যারাক হাউজ নির্মাণ করে দিয়েছি। পরে আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প বলে একটা প্রকল্প নিলাম। সেনাবাহিনীর হাতে দায়িত্ব দিলাম। তারা এই ঘরগুলো করে দেবে, ব্যারাক হাউজ। এভাবে আমরা প্রায় দেড় লাখ পরিবারকে পুনর্বাসন করে দিলাম। পরে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ শুরু করলাম। আমরা দুই কাঠা জমি এবং একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।

সরকারপ্রধান জানান, সংশ্লিষ্ট যারা আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘর নির্মাণে কাজ করছেন, তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। তাদের অনুভূতি, তারা একটা মহৎ কাজ করছেন।

সব বাধা অতিক্রম করে সরকার দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে জানিয়ে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিতভাবে এগোতে পারলে যেকোনো দেশ উন্নতি করবে। আমাদের বাধা তো আছে, বাধা তো থাকবে। আমাদের তো একে হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তারপর হচ্ছে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, আন্তর্জাতিকভাবে বারবার কিছু বাধা আসে।

তিনি বলেন, করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সব কিছু মিলিয়ে অর্থনীতির ওপর একটু প্রভাব পড়েছে। অন্য দেশের মতো আমরা বিপর্যস্ত না। আমরা কাটিয়ে উঠছি, কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। বেসরকারি খাতে ব্যাংক দেওয়ার সুফলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রাইভেট ব্যাংকগুলো হওয়ায় তিন লাখ গ্র্যাজুয়েটের চাকরি হয়েছে। এটি একটি বিশাল বিষয়।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনস অব ব্যাংকসের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

প্রকাশকঃএম এইচ, কে , উপদেষ্টা সম্পাদক,জাহাঙ্গীর আলম জাবির, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃনির্বাহী সম্পাদকঃ বার্তা সম্পাদকঃ সাইদুর রহমান মিন্টু এএনবি২৪ ডট নেট নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে । তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি anb24.net is one of the most popular Bangla News publishers. It is the fastest-growing Bangla news media that providesective news within the accurate and obj shortest poassible time.anb24.net intends to cover its reach throughout every district of the country, also global news of every segment such as politics, economics, sports, entertainment, education, information and technology, features, lifestyle, and columns anbnewsbd@gmail.com /mahamudulbd7@gmail.com mahamudul@anb24.net