একই রেস্তোরাঁয় কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক শামিমকে হত্যার দায়ে ২৬ বছর বয়সী পাকিস্তানি শেফ মোহাম্মদ আবিদের বিরুদ্ধে বিচার প্রায় দুই মাস ধরে কোনো অগ্রগতি ছাড়াই আটকে আছে।
শামীমকে হত্যার ঘটনায় আবিদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
আবিদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল মারামারিতে শামীম নামের একজন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। হুলোহুলো মালের সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার নয় ঘণ্টা পর গ্রেফতার করা হয় আবিদকে।
মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য শেষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। দুই মাস পর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তানি নাগরিক আবিদের আইনজীবী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন তাই শুনানি হয়নি।
আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পেয়েও আইনজীবী কেন নিয়োগ করেনি অভিযুক্ত আবিদের কাছে জানতে চায় আদালত।আবিদ আদালতে বলেন আমাকে আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে প্রতি ১৫ দিন বা মাসে দুই একবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাই একজন আইনজীবীর ব্যবস্থা করতে অসুবিধা হচ্ছে।
আবিদ এর কথা শুনে প্রিজাইডিং জজ ইসমাইল শফিউ, রাষ্ট্রপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন অভিযুক্ত আবিদ কে পারিবারিক বৈঠক এবং ফোন কলের সময় এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে।
বিচারক আরও বলেন মামলাটি হত্যা মামলা হওয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়া শুনানি করা ঠিক হবেনা ।তাই তাকে আইনজীবী নিয়োগের জন্য আবারও অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।এই সময়ে আবিদ যেনো আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারে সেই ব্যাবস্থা রাষ্ট্রপক্ষকে করে দিতে।
উল্লেখ চলতি বছরের (১৬ এপ্রিল) মালদ্বীপের রাজধানীর পাশ্ববর্তী আইল্যান্ড হুলোমালেতে পাকিস্তানি সহকর্মীর হাতে মো. শামিম নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি খুন হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, শামীমের মাথায়, ঘাড়ে ও পায়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে ।পরিবারের অনুরোধে তার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল।রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে স্টাফরা ইফতারের জন্য খাবার তৈরি করার সময় মতবিরোধের কারণে শামীমকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এএনবি২৪ ডট নেট নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে । তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।