সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম ‘ইবসার’ উদ্বোধন উপলক্ষে সৌদি দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। এতে আরও বক্তব্য দেন কিং সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণকেন্দ্রের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী সুপারভাইজার জেনারেল ড. আকিল আল-গামদি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাদের সাউদিয়া এয়ারলাইন্স বা সে দেশের জাতীয় মালিকানাধীন বিমানের ট্রানজিটের যাত্রী হতে হবে। ট্রানজিট যাত্রীরা ৯৬ ঘণ্টার জন্য সৌদিতে অবস্থান করে ওমরাহ পালন করতে পারবেন। এছাড়া কোনও এজেন্সির সহায়তা ছাড়াই নুসুক অ্যাপে নিবন্ধন করে যে কেউ ওমরাহ ভিসা করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, সৌদি দূতাবাস বর্তমানে প্রতিদিন ৫ হাজার ভিসা ইস্যু করছে। ভিসা ইস্যু আগের চেয়ে দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সৌদি অভিবাসীকর্মীদের ভিসা ফি নেওয়া হয় না। তবে, স্মার্টকার্ড আগে দিলে ৯০ শতাংশ সমস্যার সমাধান হবে।
এ ছাড়া, বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সব ধরনের ব্যয় নিয়োগকর্তারা বহন করার কথা থাকলেও দালালসহ নানা চক্রের কারণে হয়রানি ও অর্থের অপচয় হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন বহুমুখী। এই সম্পর্ক শুধু হজ ও ওমরাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এখন বাণিজ্য, কালচার, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জনশক্তি ইত্যাদি খাতেও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সৌদি আরব বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে। আমরাও চাই রোহিঙ্গারা নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করুক। এ সময় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটের সঙ্গে চুক্তি সই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ইবসার কর্মসূচির আওতায় ঢাকা জেলার ৫০টি প্রকল্পের ৫০টি স্কুলে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে চক্ষুসেবা দেওয়া হবে।