বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে ভিসা আবেদনের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের ডাবল এন্ট্রি ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। দেশটির এমন ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণে’ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চলমান শিক্ষাবর্ষে পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ও দেশটির প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা।
সেপ্টেম্বরে পর্তুগালে শুরু হয় নতুন শিক্ষাবর্ষ। সে অনুযায়ী অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে নবীনবরণ অনুষ্ঠান। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে পাঠদান কার্যক্রমও। বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এসব কার্যক্রমে অংশ নিতে পারলেও, বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশিরা।
ভারত ডাবল এন্ট্রি ভিসা বন্ধ রাখায় দিল্লির পর্তুগাল দূতাবাসে ভিসা আবেদনই জমা দিতে পারেননি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।
এদিকে একই কারণে বিপাকে পড়েছেন অনেক প্রবাসীর স্বজনরা। নির্ধারিত সময়ে ভিসা আবেদন জমা দিতে না পারায় অনিশ্চয়তায় তাদের পর্তুগাল যাওয়া। আগে যারা ডাবল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে ভারতে গেছেন, তাদেরও আছে ভোগান্তির নানা অভিযোগ।ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে সমস্যার বিষয়গুলো পর্তুগাল সরকারের নজরে আনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতিনিধিরা।
প্রবাসীদের এই দাবির বিষয়ে জানতে পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।