ফিলিস্তিনের শিশুকে উদ্ধার,করে মালদ্বীপে আনা হয়েছে

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার হাত থেকে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মালদ্বীপের একটি ‘সেবা’ নামের এনজিও সোমবার ২৭ মে ফিলিস্তিন থেকে নাদা নামের এক শিশুকে নিয়ে এসেছে মালদ্বীপে। শিশুটির খালা মালদ্বীপের এক নাগরিককে বিয়ে করেছে। জমিয়তুল ফালাসের সভাপতি গ্যারি আব্দুল সাত্তার আবুবকরের হেফাজতে রাখার কথা রয়েছে। আব্দুল সাত্তারের ছেলের সঙ্গে শিশুটির খালা বিয়ে হয়েছে ।

সেবা সমিতির এক কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, নাদার খালা বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। তাই নাদাকে মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

“আমরা মালয়েশিয়ায় নাদার পড়াশোনার খরচ মেটাতেও কাজ করছি,”

তিনি বলেন, নাদার মা, বাবা এবং দুই ছোট বোন গাজায় আটকা পড়েআছে তাদেরকে উদ্ধারে জনগণের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

” শিশু মেয়ের বাড়ির কাছে ইহুদিদের ট্যাঙ্কার আছে। সে তার মা, বাবা এবং ভাইদের বাঁচাতে চায়,” কর্মকর্তা বলেন।

সেবা সংগঠন এর কমকর্তা বলেন, একজন ফিলিস্তিনিকে মিশরীয় সীমান্ত অতিক্রম করতে ৫ হাজার ডলার খরচ হয়।

মালদ্বীপের ইসলামিক ইউনিভার্সিটির (আইইউএম) অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এক ফিলিস্তিনি নাগরিক গাজায় আটক ছিলো । সেই ফিলিস্তিন নাগরিক হাসান আল-কুরদির পরিবারকেও সম্প্রতি মালদ্বীপ আনা হয়েছে।

কুর্দি আইইউএম-এর আরবি ভাষার অধ্যাপক। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পরিবারটি বিপাকে পড়েছে। তারা অবশেষে রাফাহ এলাকায় বসবাস করত, যেটি এখন ইসরায়েলিদের অধীনে রয়েছে।

কুর্দির স্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষিকা। এই দম্পতির দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।

গত বছর অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদি ইসরায়েলি হামলায় ৩৫,৯০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে তাদের অধিকাংশই ছিল শিশু ও নারী।