মালদ্বীপ প্রতিনিধি।
চলতি মাসেই নতুন কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিতে পারে মালদ্বীপ। অনুমোদিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক দেশটির কর্মসংস্থান আইনের অষ্টম সংশোধনী। দেশটির বর্তমান সরকারের কোটা পদ্ধতির সংশোধনে পুনরায় আশার আলো দেখছেন প্রবাসীরা
গত ডিসেম্বর মাসে ভিসা চালুর তিন মাস পরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে মালদ্বীপ। বাংলাদেশি কর্মীরা মালদ্বীপে কাজ করতে আগ্রহী হলেও দেশটির সরকারের নির্ধারিত কোটা পদ্ধতি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
মালদ্বীপের আইনে বিদেশি মাত্র প্রতি দেশের এক লাখ কর্মীর জন্য বরাদ্দ ছিলো । সেই অনুযায়ী কর্মী পাঠায় বাংলাদেশ। এবার কোটা পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন নিয়মে বৈধ উপায়ে কর্মী নেবে দেশটি। থাকছেনা কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যার বাঁধা ধরা নিয়ম।
প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু দেশটির কর্মসংস্থান আইনের অষ্টম সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছেন। নবগঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি যাচাই বাছাই করে নিয়ম মেনে কর্মী নিয়োগ দিবে বলে সংশোধনীতে উল্লেখ করা আছে।
বেতনের অনিয়মের পাশাপাশি কোম্পানিগুলো যেকোনো অবৈধ পন্থার সাহায্য নিলেই গুনতে হবে পঞ্চাশ হাজার রুফিয়া জরিমানা। আইন অমান্যকারী প্রতিষ্ঠান নতুন করে কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে না। দেশটির বর্তমান সরকারের কোটা পদ্ধতির সংশোধনে পুনরায় আশার আলো দেখছেন প্রবাসীরা।
মালদ্বীপে আসতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের ভিসা যাচাই-বাছাই করে বৈধপথে দেশটিতে পাঠাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানান প্রবাসীরা।
মালদ্বীপে কাজের ভিসায় আসতে ইচ্ছুকদের দুই দেশের সরকারি নির্দেশনা মেনেই আসার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ বলেন,নতুনভাবে যারা মালদ্বীপে কাজ করতে আসবেন অবশ্যই তারা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে কোম্পানি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে এবং যে ভিসা নিয়ে আসবেন সেটি যাচাই করে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আসবেন।
কর্মসংস্থান আইনের সংশোধনীয় খসড়া তৈরির তারিখ থেকে তিন মাসের মধ্যে সরকারি গেজেট প্রকাশ করে নতুন কর্মী নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।