ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ফুটকিবাড়ী জামালপুর থেকে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ ঘর বাঁধার জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে রংপুর নোটারী পাবলিক এ উপস্থিত হয়ে এফিডেভিট করেন। ছেলে ও মেয়ে উভয়ে সন্মতি হয়ে প্রথমে স্বাক্ষীগণের সামনে মৌলভী দ্বারা বিবাহ পড়ান তারপর তাঁরা কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি নেওয়া হবে এই মর্মে নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া বিবাহের ঘোষণা করেন। এতে ছেলে ও মেয়ে উভয়ে সন্মতি হয়ে স্বজ্ঞানে সহি করেন এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে।
![](https://i0.wp.com/anb24.net/wp-content/uploads/2023/01/5555-300x225.jpg?resize=300%2C225)
বিবাহ বন্ধন সম্পন্ন করেন,তাঁরা দুজনে স্বামী ও স্ত্রী রুপে মেলামেশায় শুরু করে এক সাথে ১১ দিন সংসার জীবন অতিবাহিত করে। সংসার সাজানোর আগেই বাধ সাজেন বাংলা সিনেমার ভিলেন বাবা মমিনুল ইসলাম। নুসরাত জাহানের পিতা মমিনুল তিনি সিনেমার ভিলেনের মত মিথ্যার আশ্রয় নেন। ঠাকুরগাঁও সদর থানায় অফিসার ইনর্চাজ মোঃ কামাল হোসেন এর বরাবর এজাহার রুজু করে। এই এজাহারের তদন্তভার পান এক এম আতিকুর রহমান, ইন্সপেক্টর(তদন্ত)।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ এজাহারে মমিনুল তাঁর মেয়ে নুসরাতের নাবালিকা প্রমাণ পত্র হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সংযুক্ত করেন, তাঁতে দেখা যায় নুসরাতের জন্ম হয় ৫ জুন ২০০৬ সালে বয়স ১৬ বছর ৬ মাস ৩০ দিন তাঁতে প্রমাণ হয় সে আজ নিউজ প্রকাশের দিন ৪ জানুয়ারি ২০২৩খ্রিঃ পর্যন্ত নাবালিকা। মেয়ের বাবা ছেলের নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পত্রে লিখেছেন ছেলে নারী নির্যাতনকারী, নারী লোভী, এবং সকল প্রকার অন্যায় কাজে করিতে তাঁর বাধে না। আমার মেয়ে মোছাঃ নুসরাত জাহান ঋতু বয়স ১৬ বছর নাবালিকা সে জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় ক্লাশ নবম শ্রেণীতে পড়ে।
আমার মেয়েকে মোঃ মাহিম খাঁন প্রাইভেটে, স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যাক্ত করিত। এবং ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ সকাল ৬ টায় ৫/৬ জন মিলে জোর পূর্বক সাদা মাইক্রোতে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। অথচ তিনি দেরিতে এজাহার করেছেন এতে কি প্রতিয়মান হয়? মেয়েকে যদি সকাল ৬ টায় অপহরণ করে নিয়ে যায় তাহলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও চুপ করে বসে ছিলেন কেন? যখন মোছাঃ নুসরাত জাহান ঋতুকে অপহরণ করা হচ্ছিলো তখন স্বাক্ষীগণ কেন চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন? সকাল ৬ টায় অপহরণ করা হলে মোমিনুল ইসলাম সকাল ৭ টায় এজাহার না করে ৪\৫ দিনপর এজাহার দায়ের করলেন কেন? এবং স্বাক্ষীগন মিথ্যা স্বাক্ষ দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে এদের পূর্ণ তদন্ত করে অপরাধ প্রমানিত হলে আইনের আওতায় আনা জরুরী অন্যথায় এভাবে মিথ্যা স্বাক্ষদানের কারণে একটা সুন্দর জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঋতুর বাবার এজাহারে পরিপেক্ষিতে মোঃ মাহিম খাঁন ও নুসরাত সেচ্চায় ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে আদালতে আত্মসমর্পন করেন মাহিমকে বিজ্ঞ আদালত ২ মাস ১০ দিন কারাবাস দেন। সাজা খেটে জামিনে মুক্তি পায় মাহিম।
এক অভিযোগের ভিত্তিতে মুক্ত কলম অনুসন্ধানীদল মাঠে নামেন এতে মোছাঃ নুসরাত জাহান ঋতুর বাবা মোমিনুল ইসলামের কিছু চাঞ্চাল্যকর তর্থ্য বেরিয়ে আসে তিনি এজাহারে তাঁর মেয়ের বয়স ১৬ বছর লিখেছেন তাঁতে প্রমাণ হয় সে নাবালিকা তাহলে তিনি তাঁর মেয়েকে হরিপুরের মোঃ ইসাহাক সরকার এর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর গ্রাম খোলড়া, উপজেলা হরিপুর, জেলা ঠাকুরগাঁও এর সহিত পুনরায় বিবাহ দেন পূর্বের বিবাহের ডিভোর্স ছাড়াই। নুসরাতের বর্তমান শশুর জানান তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর পুলিশে ৫বছর ধরে চাকুরী করছে বর্তমান পোস্টিং খাগড়াছড়িতে জাহাঙ্গীরের বাবার সাথে মুক্ত কলম অনুসন্ধানীদল এই বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তাঁর ছেলের বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু তাঁকে তাঁর ছেলের সাথে পূর্বে আরেক ছেলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছেন বলে পূর্বের বিয়ের সকল কাগজ পত্র দেখালে এই বিয়ের বিষয় কিছু জানেন না তাঁর দুই জামাই একজন পুলিশের ওসি ওপর জন র্যাবে রাজশাহীতে আছেন তাঁদের উপর দায় চাপান তিনি ভিডিও সাক্ষাতকারে মুক্ত কলমকে জানান তাঁর ছেলের বিয়ের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বিয়েতে যান নাই। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁর ছেলে একজন নাবালিকাকে বিয়ে করেছেন কেন? (নুসরাত এর বাবা মমিনুলের তর্থ্য মতে) ইসাহাক সরকার তাঁর ছেলেকে বিবাহিত মেয়ের সাথে বিয়ে কেন দিয়েছেন এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ঋতুর আগে বিয়ে হয়ে ছিলো তা তিনি জানেন না। বা তাঁকে এ বিষয়ে মেয়ের বাবা কিছু জানাননি। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি উল্টো পাল্টে কথা বলেন। পরে স্বীকার করেন মেয়ের বাড়িতে ১ বার গিয়ে ছিলেন। তাঁর কাছে এই বিয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় তর্থ্য গোপন করেন, তাঁর ছেলের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি বলেন তাঁর ফোন নাম্বার নাই আবার বলেন দিনে ৪/৫ বার ফোন নাম্বার পরির্বতন করে। বিয়ের কথা জানান শুধু মোহর করে রেখেছি। তাঁর বাসার আশে-পাশের মানুষজন মুক্ত কলম অনুসন্ধানী দলকে কিছু বলতে চাচ্ছিলেন এমন সময় ইসাহাক সরকার খিপ্ত হয়ে তাঁদের ধমক দিয়ে বাসা থেকে বের করেদেন। এতে রহস্যের গন্ধ পাওয়া গেছে। একজন নাবালিকা মেয়েকে ছেলের বউ বানিয়ে আনার কারণ কী?
মুঠো ফোনে সজিব যে তর্থ্য জানান তা হুবহু তুলে ধরা হইলঃ হরিপুর থেকে জাহাঙ্গীরের চাচাত ভাই সজিব নামের পরিচয়ে মুঠো ফোনে কলমকে জানান নুসরাতের আগের বিয়ের বিস্তারিত জাহাঙ্গীর পুলিশ ও বর্তমান শশুড় সব জেনে শুনে বিয়ে দিয়েছে। তবে তিনি বলেন যে থানার ওসি বিষয়টি জানার পর তাঁর বউকে এই বিয়েতে আসতে দেন নাই। তবে যিনি রাজশাহীরতে র্যাবে আছেন তিনি এই বিয়েতে সম্পৃক্ত ছিলো তাঁর নাম আবু সায়েদ। সজিব জানান যেদিন বিয়ে হয়েছে গোপনে কাজীর বাসায় বিয়ে পড়ানো হয়েছে। তিনি আরও জানান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই বিয়ে হয়েছে। জাহাঙ্গীরের বাবা গত এক মাস ধরে এই বিয়ের ব্যাপারে যোগাযোগ করেন এক রকম তিনি ঘটক ছিলেন। জাহাঙ্গীরের দুই মা সে দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে।
মাহিম ও নুসরাতের এফিডেভিট নিম্নে মুল পয়েন্ট তুলে ধরা হইলঃ আমি মোঃ মাহিম খাঁন, পিতাঃ-মোঃ আজিম খাঁন বাবু, মাতাঃ মোছাঃ মুক্তা আক্তার, ঠিকানাঃ গ্রামঃ পারপুগী, ইউনিয়নঃ ১০ নং জামালপুর, ডাকঘরঃ শিবগঞ্জ, উপজেলাঃ সদর ঠাকুরগাঁও, জেলাঃ ঠাকুরগাঁও। জন্ম তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারী ২০০২ সাল, পেশা কৃষি, ধর্ম ইসলাম, জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী।
মোছাঃ নুসরাত জাহান ঋতু, পিতাঃ মোঃ মমিনুল ইসলাম, মাতাঃ বেবী সুলতানা, জন্ম তারিখঃ ৫ জুন ২০০৬ খিঃ, ঠিকানাঃ গ্রামঃ ফুটকিবাড়ী,ইউনিয়নঃ ১০ নং জামালপুর, ডাকঘরঃ শিবগঞ্জ, উপজেলাঃ সদর ঠাকুরগাঁও, জেলাঃ ঠাকুরগাঁও।
এফিডেভিডে উল্লেখিত প্রতিজ্ঞা পূর্বক দৃঢ়রুপে বর্ণনা করিতেছি যেঃ-
(১) আমরা পূর্ণ বয়স্ক সাবালক/সাবালিকা সুস্থ মস্তিকে জ্ঞান সম্পন্ন হওয়ায় নিজেদের ভালমন্দ বুঝিতে এবং অত্র এফিডেভিট সম্পাদন করিতে সম্পূর্ণ রুপে সক্ষম।
(২) আমাদের দৃ্র্ঘ দিনের পরিচয় সুত্রে এবং একে অপরের সান্নিধ্যে আসিবার ফলে আমরা উভয় উভয়কে ভালভাবে চিনিবার ও জানিবার সুযোগ পাই। আমরা উভয়ে ব্যবহারে বিমোহিত হইয়া একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া পড়ি এবং গভীরভাবে ভালবাসিয়া ফেলি। কেহ কাহাকেউ ছাড়া থাকিতে পারিবোনা এই তাই আমরা আমাদের ভালো বাসাকে চিরস্থায়ী ধরে রাখার নিমিত্তে আমাদের একে অপরের প্রস্থাবে সন্মতি ক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
৩) আমরা এতদ্বারা স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে অন্য কাহারো প্ররোচণা ব্যাতিরেকে অত্র এফিডেভিট সহি সম্পূর্ণ করিলাম।
আদালতে নুসরাতের জবানবন্দীঃ জি,আর ২৮৫/২০২২ ঠাকুরগাঁওঃ আমি মোছাঃ নুসরাত জাহান ঋতু, আমি ক্লাশ নবম শ্রেণীতে পড়ি, আমার জন্ম তারিখ ৫ জুন ২০০৬ খিঃ, আসামী মাহিম খাঁন মাদারগঞ্জএ ইন্টারে পড়ে। তাঁর সাথে ০১ বছর যাবত আমার পরিচয়। তাঁর সাথে আমার ফোনে কথা হয়, মাঝে মধ্যে তাঁর সাথে পার্কে আড্ডা দিয়েছি। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২খ্রীঃ রাত ১ টার দিকে আমি আমার বাড়ি থেকে নিজের ইচ্ছায় বের হয়ে তাঁর সাথে রংপুরে যাই। তাঁকে আমি আসতে বলেছিলাম। তাঁকে আমি ভালবাসি যেই কারণে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে রংপুরে বিবাহ করি। সেখান থেকে আমরা দুইজনে রাজশাহী মাহিমের আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। সেখানে আমার সাথে তাঁর সংসার ও শারীরিক সম্পর্ক হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ সকালে আমরা আদালতে আত্মসমর্পণ করি। আসামী মাহিম ও তাঁর আত্মীয় বা অন্য কোন ব্যাক্তি আমাকে আমাদের বাড়ি থেকে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়নি। আমি সেচ্ছায় মাহিম এর সাথে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করেছি। সে আমাকে ধর্ষণ করেনি। সেচ্ছায় বিয়ের পর সহবাস করেছি। আমার বাবার কাছে যেতে চাই। যদি আমার শর্তে পাঠানো হয়।
মোছাঃ নুসরাত জাহান ঋতু ও মোঃ মাহিম খাঁন বিবাহের বিস্তারিত জানার পর মনে হচ্ছে যে এই বিয়ে করে তাঁরা যদি অপরাধী হোন তাহলে নুসরাতের বাবা বড় অপরাধী কারণ তাঁর বক্তব্য নুসরাত নাবালিকা তাহলে তিনি তাঁর মেয়েকে পূনরায় প্রতারণার করে কিভাবে বিয়ে দিলেন? এবং যারা এই মেয়েকে বয়স প্রমাণ পত্র ছাড়া বউ বানালেন তাদেরও আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি হাজির করা প্রয়োজন। উপরে উল্লেখিত ঘটানাটি মেয়ের বাড়িতে জানতে গেলে নুসরাতের বাবার খোজ করলে তাঁর চাচা (মাস্টার) বলেন ঋতুর বাবা মোমিনুল বাড়িতে নাই আপনারা যেতে পারেন, এর মধ্যেই নুসরাতের বাবা বাড়ির ভিতর থেকে বেড়িয়ে আসেন এবং এই বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ এই মর্মে সাংবাদিকদের বিদায় করেদেন। আজ যাচ্ছি কিন্তু আবার নতুন কোন ঘটনা নিয়ে মুক্ত কলম অনুসন্ধানী দল ফিরে আসবে।
মুক্ত কলম