জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান দ্বীপ কিউশুতে আজ রোববার শক্তিশালী টাইফুন নানমাদল আঘাত হেনেছে। ইউএস নৌবাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র এটিকে সুপার টাইফুন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। নানমাদল চলতি মৌসুমের ১৪তম টাইফুন। খবর রয়টার্সের।
জাপান মেট্রোলজিক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) দ্বীপটিতে ঝড় এবং উচ্চ ঢেউয়ের সতর্কতা জারি করেছে ‘যা আগে কখনো করা হয়নি’। এ ধরনের বিশেষ সতর্কতা জারির ঘটনা সাধারণত কয়েক দশকে একবার ঘটে।
এরই মধ্যে হাজার হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩০ লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে।
এদিকে রোববার সকাল নাগাদ কাগোশিমা ও পাশ্ববর্তী মিয়াজাকি এলাকার ২৫ হাজার ৬৮০ বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ঝড়ের আশঙ্কায় আঞ্চলিক ট্রেন, ফ্লাইট ও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
জেএমএ বলছে, এ এলাকায় ঝড়ের তান্ডবে নজিরবিহীন বিপদ তৈরি হতে পারে। শনিবার একে খুব বিপদজনক টাইফুন হিসেবে উল্লেখ করেন জেএমএ’র আবহাওয়া পূর্বাভাস ইউনিটের প্রধান রায়তা করোরা।
জাপনের ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি বলছে, প্রায় ২৯ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রোববার সকাল নাগাদ আট হাজার ৫০০ লোক স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে বলে কাগোশিমার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এনএইচকে বলছে, বুলেটসহ আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল বন্ধ এবং অন্তত ৫১০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।