আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক রোববার মুঠোফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আগের মতোই শর্তসাপেক্ষে এই জামিন বহাল থাকবে। এ সময়ের মধ্যে দেশের যেকোনো হাসপাতালে বেগম জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পাবেন না তিনি।’
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোসহ বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে পরিবার।
এর আগের দিন ১০ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আবেদন করলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়ানো হবে। এর আগেও তাঁর স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে পাঁচবার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঢাকার বিশেষ আদালত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। বিচারিক আদালতের এ রায় পরিবর্তন করে হাইকোর্ট একই বছরের ৩০ অক্টোবর দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ছয় মাস করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে