Home আন্তর্জাতিক পানিতে ডুবে যাওয়া এক শিশুর লাশ উদ্ধার কারির কাছে নিয়ে এসেছে কুমির

পানিতে ডুবে যাওয়া এক শিশুর লাশ উদ্ধার কারির কাছে নিয়ে এসেছে কুমির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃঃকুমিরের শরীরে যে আবার দয়ামায়া আছে, তা কে জানত? এমনকি, ছদ্ম সমবেদনা প্রকাশকে বাংলায় বলাই হয় কুমিরের কান্না। এহেন এক কুমিরই সম্প্রতি ডুবে যাওয়া নিখোঁজ এক শিশুর দেহ এনে দিল তাঁর বাবা-মায়ের কাছে। অবাক হয়ে গিয়েছিলেন মুয়ারা জাওয়া নামে ইন্দোনেশিয়ার এক ছোট শহরের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, পূর্ব কালিমন্থন জেলার মাহাকম নদীতে ডুবে গিয়েছিল শিশুটি। তারপর থেকে আর তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তাঁর বাবা-মা। শিশুটির খোঁজে যখন মখম নদী তোলপাড় করছে উদ্ধারকারীরা, সেই সময়ই একটি বিশালাকার কুমিরকে দেখা যায় উদ্ধারকারীদের দিকে এগিয়ে আসতে। তাঁর পিঠে দেখা যায় একটি শিশুর দেহ। দেখা যায়, দেহটি আগে ডুবে যাওয়া শিশুটিরই দেহ।

 

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব কালিমান্তানের বোর্নিও দ্বীপের একটি নদীতে একটি শিশুর ডুবে মারা গেছে সেই লাশ পিঠে করে স্তলে নিয়ে আশা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই চিত্র।ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “একটি অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য কিন্তু বাস্তব ঘটনা। একটি কচ্ছপ নদীতে ডুবে যাওয়া একটি শিশুর মৃতদেহ অনুসন্ধানকারীদের কাছে নিয়ে এসেছে। যে নদীতে শিশুটি ডুবে গেছে সেটি একটি নদী যেখানে প্রচুর কুমির রয়েছে।”

 

একটি উদ্ধারকারী দল শিশুটিকে পানিতে খোঁজাখোজির এক পযার্য়ে তারা হঠাৎ দেখতে পায় একটি কুমির শিশুটিকে তার পিঠে নিয়ে উদ্ধারকারী দলের জাহাজের খুব কাছে চলে আসে। দেখে মনে হয়েছিল তাদের কাছে লাশ ফেরত দিতে এসেছে।

কুমির সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করেতাদের মেরে ফেলে কুমিরের খাবার হিসাবে ব্যাবহার করে। যখন এই শিশুটির মৃতদেহ নিয়ে আসে তখন স্থানীয়রা বিস্মিত হয়েছে।এবং কী বলবেন বুঝতে পারছিলেন না।

 

শিশুটিকে পিঠে নিয়ে আসার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন ভারতীয় বন কর্মকর্তা (আইএফএস) সুশান্ত নন্দা উদ্ধারকারী দলের কাছে গেলে এক ব্যক্তি শিশুটিকে হাত দিয়ে ধরে তাকে নৌকায় নিয়ে যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “একটি অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য কিন্তু বাস্তব ঘটনা। একটি কচ্ছপ নদীতে ডুবে যাওয়া একটি শিশুর মৃতদেহ অনুসন্ধানকারীদের কাছে নিয়ে এসেছে। যে নদীতে শিশুটি ডুবে গেছে সেটি একটি নদী যেখানে প্রচুর কুমির রয়েছে।”

 

ভিডিওটিতে মন্তব্যকারী অনেকেই বলেছেন, এটা আল্লাহর কুদরত।
গালফ টুডে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুটির মাত্র চার বছর বয়সী মোহাম্মদ জিয়াদ বিজয়া।

এই শিশুটি নিখোঁজ এবং খুঁজে পাওয়া যায়নি. কখন সে বাড়ি থেকে চলে গেছে তার বাবা-মাও জানতেন না। নিকটবর্তী মহাকাম নদীতে ডুবে গেছে বলে ধারণা করায় শিশুটির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

শিশুটির পিঠে কামড়ের ক্ষত পাওয়া গেছে।ধারণা করা হচ্ছে, নদীর তলদেশে থাকা অবস্থায় শিশুটির পিঠ আক্রমণ করেছে।

 

এএনবি২৪ ডট নেট /আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

সর্বশেষ খবর

এনবি ২৪ একটি বহুল পঠিত অনলাইন বাংলা সংবাদপত্র।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত – এনবি ২৪

কোডিং এবং ডেভেলপমেন্ট – গ্রোউজ আইটি