মালদ্বীপের রাজধানী মালে কালোবাজারে ডলার বিক্রির অভিযোগে পাঁচ বিদেশিকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন।
মালে শহরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করতে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশেষ অভিযান চালায় মালদ্বীপের টাস্কফোর্স।অভিযানে পাঁচ বিদেশীকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ ডলার, মালদ্বীপের এমআরভি, বাংলাদেশি টাকা ও ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন।মালদ্বীপের পুলিশ বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে।
মালদ্বীপে অবৈধ বিদেশিদের গ্রেপ্তারে তিন থেকে চার মাস ধরে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন।মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানের মধ্যে করণীয় নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস
দ্বীপ দেশ মালদ্বীপে অভিবাসন সমস্যা নিরসনে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে দেশজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ নামে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। প্রতিদিনই আটক হচ্ছেন ‘বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে’ জড়িত বাংলাদেশিরাও।
এতে দেশটিতে থাকা প্রায় এক লাখ বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশিরা মূলত আটক হচ্ছেন দেশটির আইন পরিপন্থি, কাজের ভিসায় এসে ব্যবসা করার দায়ে
গত ডিসেম্বরে ‘পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস’ মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসার পর থেকে অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলার উদ্যোগটি সামনে আসে। জুলাই মাসে দেশটির মন্ত্রিপরিষদে এটি উপস্থাপিত হলে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জ তা অনুমোদন করেন। এতে বলা হয় স্থানীয় নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় অবৈধ মাদক ও ডলার ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে প্রবাসীদের বিরত থেকে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো ও কর্মক্ষেত্রে দেশটির আইন মেনে চলার আহ্বান জানান হাই কমিশনার। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা ও বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতেও পরামর্শ দেন তিনি।
এই অভিযানে এখন পর্যন্ত আটক করে ৩ হাজারের ও বেশি অভিবাসী কে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্ততক্ষে কামনা করেছে মালদ্বীপে বসবাস করা বাংলাদেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।