Home জাতীয় আহলে সুন্নাতের গোলটেবিল বৈঠকে “পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম বিরোধী বিকৃত ইতিহাস জাতির ধ্বংস ডেকে আনবে”

আহলে সুন্নাতের গোলটেবিল বৈঠকে “পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম বিরোধী বিকৃত ইতিহাস জাতির ধ্বংস ডেকে আনবে”

গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির,ঢাকা থেকে।।

আজ ২৫ জানুয়ারি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের উদ্যোগে বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল আলিম রেজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “পাঠ্যপুস্তকে ভুলঃ একটি পর্যালোচনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে” মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন আহলে সুন্নাতের নির্বাহী মহাসচিব মুফতি আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব জননেতা অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ বলেন ,পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম বিরোধী বিকৃত ইতিহাস জাতির ধ্বংস ডেকে আনবে। তিনি বলেন-ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য একটি গোষ্ঠী পাঠ্যপুস্তকে বিকৃত ইতিহাস, কাল্পনিক ছবি, আশরাফুল মাখলুকাত মানুষকে বানর থেকে সৃষ্টি এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা জাতিকে চরমভাবে বিভ্রান্ত করছে।
গোলটেবিলে আলোচক ছিলেন- প্রথম আলোর কলামিস্ট শাইখ উসমান গনী, আহলে সুন্নাতের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, কাজী সমিতির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট কাজী মুহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন দুলাল, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ আখতার ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু জাফর টিপু, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জামান কাজল, এডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাসান, এডভোকেট সৈয়দ মুখতার আহমদ সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ আবু নাসের মুসা,
মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, খন্দকার মোবারক হোসাইন, শাফায়াত উল্লাহ, রেহানে মুস্তফা, মুহিব উল্লাহ সিদ্দিকী প্রমূখ।

আলোচকরা বলেন- স্বাধীন সার্বভৌম এবং সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম দেশে ভীনদেশী ধর্মের আমদানীর ষড়যন্ত্র কখনো ভাল কিছু বয়ে আনবে না। বরং দেশকে ধব্বংস এবং অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করবে। পারিবারিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসনকে বিলুপ্ত করতে পারলে নৈতিকতা শুন্য হলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবদুল আলিম রেজভী বলেন- আমরা নীতিবান ব্যক্তি তৈরি করতে চাই। দেশকে নৈতিকতা সম্পূর্ণ করতে হলে ধমীয় অনুশাসনের বিকল্প নেই। তিনি অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে করা কমিটিতে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামগনকে সম্পৃক্ত করার আহবান জানান।

গোলটেবিল বৈঠকে ৮ দফা দাবী পেশ করা হয়:-

১) বিবর্তনবাদের মত কোরআন বিরোধী কুফরি তথ্য শিখে শিক্ষার্থীদের ধর্মান্তরিত হওয়ার পথ সুগম হবে।
২) ট্রানসজেন্ডারের মত ঘৃণিত পদ্ধতির প্রতি শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হবে।
৩) মুসলিম শিক্ষার্থীরা ইসলামের মৌলিক বিষয় তৌহিদ শিক্ষার পরিবর্তে বিভিন্ন দেব- দেবীর পুজার প্রতি আকৃষ্ট ও বহু ঈশ্বরবাদী হয়ে উঠবে।
৪) ইসলামি পরিভাষার পরিবর্তে দেব- দেবীর ইত্যাদি পরিভাষাগুলো মুসলিম শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে তারা ইসলাম বিমুখ এর পথ প্রশস্ত হবে।
৫) ইসলাম ও মুসলিম রাজা- বাদশাদের ব্যাপারে ঘৃনা তৈরী হবে এবং বিকৃত ইতিহাস শিখবে।
৬) ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ এমন বাদ্যযন্ত্রের প্রতি মুসলিম শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করবে।
৭) পর্দা, টুপি ও দাঁড়ির মত ইসলাম ধর্মীয় বিষয়গুলোর প্রতি শিক্ষার্থীদের ঘৃনা তৈরী হবে।
৮) শান্তিপূর্ণ এই বাংলাদেশে উগ্রবাদী মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করার পথ সুগম হবে।

এনবি ২৪ একটি বহুল পঠিত অনলাইন বাংলা সংবাদপত্র।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত – এনবি ২৪

কোডিং এবং ডেভেলপমেন্ট – গ্রোউজ আইটি