পরিবার আমাদের শিখিয়েছে বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ করা আর গুরুজনদের মান্য করা। এসমস্ত শিক্ষা পরিবার থেকেই আসে, অশিক্ষা কুশিক্ষায় বেড়ে ওঠা অসভ্যদের পক্ষে বোঝা অসম্ভব।
সেক্ষেত্রে প্রকৃতি আমাদের শিখিয়েছে অসভ্যদের কিভাবে ট্রিটমেন্ট দিতে হয়। বাঁকা কিংবা সোজা, যেই আঙ্গুলে কাজ হবে সেই ধরনের থেরাপী দেয়াও শিখেছি, শিখে যাচ্ছি। বোকা মূর্খ শুধু অশিক্ষিতরাই হয়না, এসব অজাতদের মধ্যে শিক্ষিত আর অল্প বিদ্যাধারী কানার দলই দুনিয়ার আসল গলগ্রহ।
ক্লাস থ্রি থেকেই সিগারেট খাই, তবে সেটা এলাকার বাইরে। মুরুব্বীদের সামনে তো দাঁড়াতামই না, চোখে চোখ পরার আগেই সালাম কুশলাদি বিনিময় করেছি। দুষ্টামী করেছি ব্যাপক, শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবী করিনি কখনো।টেলিভিশন সেটে গেলে পা তুলে বসিনা, জানি অপরপ্রান্তে অবশ্যই কোন মুরুব্বী আছেন।নিজের অফিসের চেয়ারে একটু পা তুলে আরাম করে বসতে চাইলেও সিনিয়র কেউ থাকলে অনুমতি নেই এখনও, এমনকি মুরব্বী অধস্তন হলেও চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যাই।
বাচ্চাদের সামনে কিংবা কোন প্রাইভেট গাড়ীতে কখনোই ধুমপান করিনা। আপনার সম্বন্ধে সবাই কমবেশী জানে, নিজের প্যান্টের জিপার খোলা রেখে আরেকজনের খোলা জিপার নিয়ে ব্যস্ত থাকা এই মানুষের পেশা।tবুও ছোট ছোট কার্টেসীগুলোই আসল মানুষেরা লক্ষ্য করে।অর্থ অবস্থান প্রতিষ্ঠাই আসল নয়, আপনার পারিবারিক শিক্ষাই সমাজে ভদ্রলোক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার মূল মানদন্ড। মনে রাখতে হবে সম্মান এবং লজ্জ্বা টাকা দিয়ে কেনা যায়না।
ব্যক্তিজীবনে আমি যথেষ্ট বিনয়ী, আমাকে যারা চেনেন তারা অবশ্যই স্বীকার করবেন। পেছনে কথা বলা মানুষকে আমি সবসময়ই জন্মপরিচয়হীন ভাসমান শ্যাওলা মনে করি।যে বিনয় আমাকে তৈলমর্দনকারী বাঁশের চেয়ে লম্বা আর বাঁকা কঞ্চি বানিয়ে দেয় সেই বিনয়ের ধার ধারিনা। ভদ্রলোকের সাথে কখনো উদ্ধত হইনা, আবার অভদ্রদের চুল পরিমান ছাড় দেয়া সিলেবাসে নেই। অন্য ধাতুতে বেড়ে ওঠা পরিবারের সদস্য আমি যেখানে পরিপাটি কাশ্মীরী সৌন্দর্য আর হাবিয়া’র আজাব- দুটোই বিরাজমান।
পথ হাঁটার সময় চেষ্টা করি একটা পিঁপড়াও যেন আমার পায়ের নীচে না পরে, আবার বেয়াদব মোনাফেক নাফরমান পেলে সেই পায়ের তলাতেই পিষে মেরে ফেলি। ভুল হলে ক্ষমা চাই ক্ষমাও করি, এটাই আমার শিক্ষা। এবার যার যেটা পছন্দ।