বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকারের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে চাইলেও আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘সারাদেশ আন্দোলনে প্রকম্পিত হচ্ছে৷ সরকার যত বেশি অত্যাচার করবে ততবেশি মানুষ ফুসে উঠবে। পিছু হটবার পথ নেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবো।’
সোমবার রাতে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজা আব্বাস সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সরাসরি নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ে আসেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মির্জা ফখরুলকে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান। প্রিয় নেতাদের মুক্তিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন দলীয় কর্মীরা।
ফখরুল বলেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা ও আপনাদের আন্দোলের মাধ্যমে আমরা মাত্র দুজন মুক্তি পেয়েছি। আরো সবাই এখনো কারাগারে। শুধু বন্দি নয়, তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। একটা সেলের মধ্যে (কারাগারের কক্ষ) পাঁচ-সাতজনকে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে৷’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীনরা গ্রেপ্তার করে ভোটের অধিকারের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এতে আন্দোলন আরো বেগবান হয়েছে। সারাদেশ আন্দোলনে প্রকম্পিত হচ্ছে৷ সরকার যত বেশি অত্যাচার করবে ততবেশি মানুষ ফুসে উঠবে। পিছু হটবার পথ নেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবো। তাই আন্দোলন আরো তীব্র করতে হবে৷ এর মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করতে হবে। আসুন এই শপথ নিয়ে নতুন অঙ্গীকার করি। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
এসময় মির্জা আব্বাস বলেন, সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে অস্থির অবস্থার মধ্যে আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আমার অপরাধ ছিল আমি সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছি। সরকারকে বলবো বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় তারেক রহমান তাদের পরিবারের খোঁজ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানান তিনি। আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত করা হবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএনবি২৪ ডট নেট /এম এইচ, কে